ঢাকা: ঢাকার মিরপুরে বিপিএলের ১১তম ম্যাচে চিটাগাং ভাইকিংসকে ১৮ রানে হারিয়েছে মাহমুদুল্লাহর খুলনা টাইটান্স। এর ফলে তিন ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় জয় পেল খুলনা। আর সমান ম্যাচ খেলে চিটাগাং এর দ্বিতীয় পরাজয়।
এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেলা একটায় টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামে চিটাগাং। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা খুলনা নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করে।
১৭১ রানের বড় লক্ষ্যের পিছনে ছুটতে গিয়ে ৩৮ রানের মধ্যে লুক রঞ্চি, সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয় ও দিলশান মুনাবিরাকে হারিয়ে বসে চিটাগং। সেখান থেকে দলকে উঠিয়ে আনার চেষ্টা করেন সিকান্দার রাজা ও অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। দলীয় ৯৭ রানে ২৭ বলে ৩৭ রান করে রাজা ফিরে যান। অপরপ্রান্তে ধীরগতির ব্যাটিং করে চিটাগংয়ের বিপদ বাড়িয়ে তোলেন মিসবাহ। ১৬তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে মাত্র ৩০ রান করেন এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান।
লুইস রিসে চেষ্টা করলেও তাকে ফিরিয়ে দেন আর্চার। ১৭ বলে ২২ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৫২ রানেই শেষ হয় চিটাগংয়ের ইনিংস। খুলনার আবু জায়েদে রাহী নেন চারটি উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনা টাইটানসের। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে মাত্র ২৯ রান সংগ্রহ করতেই তাঁরা হারিয়েছিল তিনটি উইকেট। একে একে সাজঘরে ফিরেছিলেন চাডউইক ওয়াল্টন, মিচেল ক্লিঙ্গার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে এরপর খুলনার ব্যাটসম্যানরা ঘুরেও দাঁড়ায় দারুণভাবে। তৃতীয় উইকেটে ৩৯ রানের জুটি গড়েন রাইলি রুশো ও মাহমুদউল্লাহ।
দশম ওভারে রুশো ২৫ রান করে আউট হয়ে গেলেও চিটাগংয়ের বোলারদের আরো কিছুক্ষণ ভুগিয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। চতুর্থ উইকেটে আরিফুল হককে সঙ্গে নিয়ে তিনি যোগ করেন আরো ৩৫ রান। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ আউট হয়েছেন ৪০ রান করে। আরিফুলের ব্যাট থেকেও এসেছে ৪০ রান। আর একেবারে শেষ পর্যায়ে কার্লোস ব্রেথওয়েট খেলেছেন ১৪ বলে ৩০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস।
চিটাগংয়ের পক্ষে বল হাতে নজর কেড়েছেন তাসকিন আহমেদ। তিনটি উইকেট শিকার করেছেন এই ডানহাতি পেসার। অবশ্য ৪ ওভার বল করে তিনি দিয়েছেন ৪৩ রান। দুটি উইকেট পেয়েছেন সানজামুল ইসলাম। একটি করে উইকেট গেছে শুভাশীষ রায় ও দিলশান মুনাবিরার ঝুলিতে।
দিনের একমাত্র খেলায় মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খেলাটি বেসরাকারি টেলিভিশন গাজী টিভি ও মাছরাঙ্গা ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে।
চিটাগং ভাইকিংস
দেশি: সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদ, এনামুল হক (বিজয়), শুভাশিস রায়, সানজামুল ইসলাম, আল আমিন জুনিয়র, আলাউদ্দিন বাবু, তানভীর হায়দার, ইরফান শুক্কুর, নাঈম হাসান, ইয়াসির আরাফাত।
বিদেশি: লুক রনকি, লিয়াম ডসন, জীবন মেন্ডিস, জার্মেইন ব্ল্যাকউড, সিকান্দার রাজা, দিলশান মুনাবীরা, মিসবাহ-উল-হক, নজিবউল্লাহ জাদরান, লুইস রিস।
খুলনা টাইটানস
দেশি: মাহমুদউল্লাহ, মোশাররফ হোসেন, শফিউল ইসলাম, আরিফুল হক, নাজমুল হোসেন (শান্ত), আবু জায়েদ, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, ইমরান আলী, মুক্তার আলী, ধীমান ঘোষ, সাইফ হাসান।
বিদেশি: জুনাঈদ খান, সরফরাজ আহমেদ, সাদাব খান, বেনি হাওয়েল, কার্লোস ব্রাফেট, চ্যাডউইক ওয়ালটন, ক্রিস লিন, কাইল অ্যাবট, রাইলি রুশো, সিকুগে প্রসন্ন, শিহান জয়াসুরিয়া, জফরা আর্চার, মাইকেল ক্লিঙ্গার।