মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ২২ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:২৯:৪৩ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী এ্যাড. মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশে কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে আর আসার পরে কতটুকু উন্নয়ন করেছে তার বিচার সাধারণ জনগণ ভোটের মাধ্যমে এবার হিসাব নিকাশ কষবে। একটা সরকারের পক্ষে জনগণের ১৬ আনা আশা পূরণ করা সম্ভব নয়। আমি এ এলাকায় আপনাদের ১৬ আনা দিতে পারি নাই। আমার অনেক ভুল ত্রুটি আছে তা আমি স্বীকার করি। আজ সোমবার সকালে কলাতিয়া বাজার এলাকায় গণসংযোগের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের প্রচারপত্র বিলি শেষে এক পথ সভায় তিনি এ কথা বলেন। কামরুল ইসলাম বলেন, আমি আপনাদের কেরানীগঞ্জের দায়িত্ব নেওয়ার পরে এ এলাকার প্রতিটি স্কুল-কলেজ মাদরাসায় নতুন ভবন করেছি। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি। বর্তমানেও ১২০ কোটি টাকার রাস্তার কাজ সাভার-কেরানীগঞ্জে চলমান আছে। কেরানীগঞ্জে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শাক্তা মডেল হাই স্কুল এবং ইস্পাহানী কলেজকে জাতীয়করণ করেছেন। কেরানীগঞ্জের সবগুলো মাঠ আমরা খেলার উপযুক্ত করেছি। তিনি বলেন, বর্তমানে সরকার সব খাতে উন্নত, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, আইটি সব সেক্টরে উন্নয়ন করছে। এক সময় ৭ কোটি মানুষের খাদ্য আমদানী করতে আমাদের সমস্যা হতো, এখন ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে আমরা বিদেশে খাদ্য রপ্তানী করি। কৃষকরা আজকে বিনামূল্যে সার পায় নিরাবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পায়, তাই উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতে আজ ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়েদের কথা চিন্তা করে মাতৃত্বকালীন ভাতা চালু করেছেন, গর্ভকালীন ছুটি চালু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আগেও একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আগের প্রধানমন্ত্রী মায়েদেরে কথা কখনো চিন্তা করেনি। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ১০ হাজার করে ভাতা দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেটেলাইট ১ উৎক্ষেপণের পর প্রযুক্তিক্ষেত্রে উন্নত হয়েছে। আমরা আজকে উন্নয়নশীল দেশ। ২০৪১ এ আমরা উন্নত দেশ হবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আমরা উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছি। ২০২৪ সালে আমরা জাতিসংঘের কাছ থেকে উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত স্বিকৃতি পাবো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আজকে বিশ্বনন্দিত নেত্রী। তিনি বলেন, আজকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে সৎ তিনজন নেত্রীর মধ্যে একজন আরেকজন দুর্নীতির দায়ে আটক। এতিমদের টাকা লুটের দায়ে কারাগারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান বিশ্বের সেরা ১০ জন নেতার মধ্যে। মধ্যপ্রাচ্য আজকে আর বাংলাদেশকে মিসকিন বলে না। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে বিশ্ব বাংলাদেশকে আজকে দেখে। পদ্মা সেতু হলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাহসীকতায় পদ্মা সেতু হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন দৃষ্টান্তমূলক বিচার করেছি। বিচার না করার যে প্রথা ছিল আমরা তার থেকে বেড়িয়ে এসেছি। অনেকে অভিযোগ তোলেন এগুলো রাজনৈতিক বিচার। অপরাধীর দণ্ড পেতে হবে এটা নির্মম সত্য। যারা ৭১ ঘাতক, যারা ২১ আগস্ট হামলাকারী তাদের ন্যায় বিচারের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছি। আমরা ন্যায় বিচার করেছি। তারেক রহমান আজকে যাবৎজীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। বিএনপি এখন রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া উল্লেখ করে তিনি জানান, তাদের চেয়ারম্যান এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অভিযুক্ত। দু জনেই দণ্ডিত কারা অপরাধী। এটা গণতান্ত্রিকভাবে লজ্জাজনক। আমাদের দুঃখ হয় ড. কামাল হোসেনসহ আসম আব্দুর রব, মান্না আজকে দুর্নীতিবাজদের সাথে হাত মিলিয়েছেন। আমি বুঝতে পারি না এই বৃদ্ধ বয়েসে কামাল হোসেন সাহেব কিভাবে হাত মিলিয়েছেন। মানুষ এ প্রশ্নের উত্তর চায়। নির্বাচন সামনে। নির্বাচন বানচাল করার জন্য তারা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের সজাগ থাকতে প্রতিরোধ গড়তে হবে। সবাই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। একটা সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সবাইকে উপহার দিবেন। নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনা করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই নির্বাচন হবে। ওরা যতোই আন্দোলনের কথা বলুক ওদের দিয়ে আন্দোলন হবে না। ওদের সাংগঠনিক শক্তি নাই। ওদের ঐক্য হয়েছে খুনিদের ঐক্য। ওদের ঐক্য সন্ত্রাসীদের ঐক্য। এটা ফলপ্রসূ হবে না। কোনো অবস্তাতেই ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। এক সময় আমরা নির্বাচনের শ্লোগান দিতাম আমার ভোট আমি দিবো যাকে খুসি তাকে দিবো আর এখন বলতে হবে আমার ভোট আমি দিবো উন্নয়নের পক্ষে দিবে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দিবো। এ সময় মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, ঢাকা জেলা যুবলীগ সভাপতি শফিউল আযম খান বারকু, আওয়ামী লীগ নেতা ডা. ইফতেখার হোসেন শাওন, মো. শাজাহান ভুইয়া, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহসম্পাদক আলতাফ হোসেন বিপ্লব, মো. আলাউদ্দিন, মো. কামাল, মো. রনি, মোখ টিপু, অনিক হোসেন পিন্টুসহ প্রায় এক সহস্রাধীক নেতাকর্মী।





আরো খবর