বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান, ১৪৪৫ | ১২:৫৭ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৫:৫০ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

খালেদা জিয়ার বিকলাঙ্গতা, চোখ শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ মেডিকেল রিপোর্টে

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রতিবেদন দাখিল করেছে ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। গত রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুনের হাতে এ প্রতিবেদন তুলে দেন মেডিকেল বোর্ডের প্রধান মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এম এ জলিল। তার আগেরদিন পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড পুরান ঢাকায় নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। মেডিকেল বোর্ডের দেয়া ওই প্রতিবেদনের কপি সাংবাদিকদের হাতে এসেছে। এতে দেখা গেছে, খালেদা জিয়ার বাম হাতের সমস্যাসহ (বিকলাঙ্গতা) রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস (বাতজনিত সমস্যা), সার্ভাইকাল স্পন্ডিলোসিস, লাম্বার স্পন্ডিলোসিস, বাম কোমরের অস্থিসন্ধিতে অস্ট্রিয়আর্থরাইটিস, অস্ট্রিয়পরিসিস, সিনাইল ট্রেমর, এলার্জি জনিত সমস্যার কারণে চোখ শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ রয়েছে। এছাড়া তার দুই হাঁটুই প্রতিস্থাপিত। তবে, খালেদা জিয়ার কোন ডায়াবেটিক অথবা উচ্চরক্তচাপ জনিত সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বোর্ড বেগম জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন যে হাসপাতালে সব ধরনের স্পেশালিটি আছে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল যুতসই হতে পারে বলে মত তাদের। রোববার হাসপাতাল এবং কারা-কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করার পর মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন জানান, খালেদা জিয়া কারাগারে থাকার কারণে তার শরীরে নতুন কোনো গুরুতর রোগ বা উপসর্গ যোগ হয়নি। তার পুরনো যে আর্থ্রাইটিস রোগ রয়েছে, সে কারণেই তিনি অসুস্থ। “উনার নতুনভাবে কোনো রোগ আমরা সনাক্ত করতে পারিনি। উনার গেঁটে বাত আগে থেকেই রয়েছে। এটির ব্যথা মাঝে বাড়ে এবং কমে। এবং চিকিৎসকরা যেটা আমাকে বললেন এবং প্রতিবেদনেও উল্লেখ করেছেন, সেটি হচ্ছে, দুই হাতের এলবো জয়েন্টে তারপর হাঁটুতে, বাম পায়ের জয়েন্টে এবং বাম কাঁধের জয়েন্টেও ব্যথা একটু বেশি আছে। এছাড়া উনার এ্যালার্জির সমস্যা আছে। এগুলোর সবই নিরাময় যোগ্য।” মেডিকেল বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক, অর্থোপেডিক বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবু জাফর চৌধুরী, চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারিক রেজা আলী ও ফিজিক্যাল মেডিসিন সহযোগী অধ্যাপক ডা. বদরুন্নেসা আহমেদ। তবে মেডিকেল বোর্ডে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কোনো চিকিৎসক না রাখায় এর সমালোচনা করে আসছিলেন বিএনপি নেতারা। এখন সেই মেডিকেল বোর্ডের কর্মকাণ্ড এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনের ব্যাপারে বিএনপি অনাস্থা প্রকাশ করেছে। সপ্তাহ-খানেক আগে একটি দুর্নীতির মামলায় ঢাকায় নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারের ভিতরে অস্থায়ী আদালতে হুইল চেয়ারে করে খালেদা জিয়াকে হাজির করা হয়েছিল। এরপর বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে দলটির সিনিয়র নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করে তাদের নেত্রীর উন্নত চিকিৎসার একই দাবি করেছিলেন। সেই প্রেক্ষাপটে সরকারের গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালেই চিকিৎসার সুপারিশ করেছে।





আরো খবর