জাতীয় / ভারত থেকে আসা তিস্তার পানিতে ২০ গ্রাম প্লাবিত
বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:০১:২৫ পূর্বাহ্ন
ভারত থেকে আসা তিস্তার পানিতে ২০ গ্রাম প্লাবিত
কাছ দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে। নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে কাউনিয়া উপজেলার চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। : ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, ভারতের গজলডোবার দোমহনী পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানি হু হু করে বাড়ছে। গত সোমবার রাতে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ৫২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার মাত্রায় প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে নদীর পানির প্রবল স্রোতের কারণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে ভাটিতে পানি বাড়ায় ব্যারেজ এলাকার ভাটির চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অপরদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধির কারণে কাউনিয়ার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী গ্রামগুলো তিস্তার পানি প্রবেশ করায় সৃষ্ট বন্যার আশংকা করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে বন্যায় উপজেলার চর ঢুষমারা, চর গনাই, তালুকশাহবাজ, বিশ্বনাথ, টাপুর চর, হয়বৎখাঁ, হরিচরণশর্মা, চর গনাই, তালুক সাহাবাজ, আরাজীকানুয়া, পাঞ্চরভাঙ্গাসহ নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বেশিরভাগ নলকূপ পানিতে তলিয়ে থাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। গোচারণ ভূমি তলিয়ে থাকায় গবাদিপশু নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে পানিবন্দি মানুষেরা। বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, তার ইউনিয়নের ঢুসমারা, আরাজি হরিশ্বর, গোপিডাঙ্গা, গদাই, পাঞ্চরভাঙ্গা, গদাই, তালুকসাহাবাজ, : নিজপাড়া ও হরিশ্বর গ্রামসহ নদী তীরবর্তী গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। পানিবন্দি গ্রামের মানুষেরা অনেকেই গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি উচু স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। আবার অনেকেই নদী ভাঙ্গনের ভয়ে বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। টেপামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তার ইউনিয়নের চারটি গ্রামে অন্তত সাড়ে ৩০০ পরিবারের মানুষেরা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ হারুনর রশিদ জানান, সৃষ্ট বন্যার পানিতে তিস্তার তীরবর্তী গ্রামগুলোতে প্রায় ৫০০ হেক্টর আমন ধানসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আঃ আজিজ জানান, তিস্তার পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে চারঞ্চল ও নদীর তীববর্তী নিম্নাঞ্চল বেশ কয়টি গ্রামে বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, পানি বন্দি মানুষদের ব্যাপারে সরকারিভাবে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। : : :