বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ২০ আগস্ট ২০১৮ ১১:৪৬:৩৭ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

সড়কপথে স্বস্তি, দক্ষিণে শিডিউল বিপর্যয়

আর একদিন পরেই (বুধবার) পবিত্র ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে রাজধানী ছেড়েছেন নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষদের সিংহভাগ যাত্রী। এখন ঈদযাত্রার চতুর্থদিনে চলছে শেষ মুহূর্তের বাড়ি ফেরার পালা। সড়কপথে এবার ঈদযাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রায় বাগড়া দিয়েছে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে নাব্যতা সংকট। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উত্তরবঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের ঈদযাত্রার যানবাহন সঠিক সময়ে কাউন্টার ছাড়ছে। কিন্তু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বাসগুলো ছাড়ছে বিলম্বে। গতকাল রোববারের মতো আজও দক্ষিণবঙ্গের বাসগুলোয় শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া-কাওড়াকান্দি এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটের একপাশে ধীর গতি ও অপরপাশে দীর্ঘ যানজটের কারণে শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। দেড় থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে ছাড়ছে বাস। তবে অধিকাংশ কাউন্টারের কর্মকর্তা আশা করছেন, বিকেল নাগাদ এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। ঈগল পরিবহনের ম্যানেজার শামসুল ইসলাম জানান, ঈদযাত্রায় আমাদের প্রস্তুতি থাকলেও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে দীর্ঘ যানজটের কারণে বাস বিলম্বে যাচ্ছে ও কাউন্টারে ফিরছে। এ কে ট্রাভেলসের কাউন্টার কর্মকর্তারা জানান, সাতক্ষীরা থেকে কাল বিকেল সাড়ে ৪টায় ছেড়ে আসা বাস ১৮ ঘণ্টায় ঢুকেছে রাজধানীতে। এমন দশা আমাদের প্রত্যেকটা বাসেই। শ্যামলী পরিবহন, এসপি গোন্ডেন লাইন, একে ট্রাভেলস ও সৌখিন পরিবহনে খোঁজ নিয়েও প্রায় একই ধরনের চিত্র পাওয়া গেছে। এসব পরিবহনের কাউন্টারের দীর্ঘসময় ধরে অপেক্ষা করছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। এদিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আজও ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ রয়েছে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে।তবে নাব্য সংকটে এই রুটে ফেরি চলাচল কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় র‌্যাব, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এছাড়া যাত্রী হয়রানি বন্ধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম কাজ করছে। জানা গেছে, কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে নাব্য সংকট দেখা হয়। নাব্য সংকট দূর করতে নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু অপসারণের কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ। ড্রেজিং কাজ চলমান থাকায় ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। এই নৌরুটে ২১টি ফেরির মধ্যে বিকল্প নৌরুট ব্যবহার করে এখন ১৬টি ফেরিতে দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ঘাটের উভয়পাড়ে আটকা পড়েছে ৩ শতাধিক যানবাহন। এতে দুর্ভোগ বাড়ছে এই নৌরুটে যাতায়াতকারী যাত্রী ও চালকদের। ঈদের আগের ৩দিন ও পরের তিনদিন ট্রাক পারাপার বন্ধ রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। ঢাকা-টাঙ্গাইলের ২৩ ব্রিজে স্বস্তি: গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে নবনির্মিত ২৩টি ব্রিজের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরই সেতুগুলো যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল ফোরলেনের কাজ এরইমধ্যে ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেই সাথে ফোরলেন অংশে মির্জাপুরের ধেরুয়া রের ক্রসিংয়ে উড়াল সেতুটিও উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফলে নির্বিঘ্নে ঈদে ঘরমুখো মানুষ বাড়ি ফিরতে পারছেন। ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য এই মহাসড়ক ছিল চরম ভোগান্তির। বিগত কয়েক বছর মহাসড়কে চারলেন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় উত্তরবঙ্গসহ ২৩টি জেলার মানুষের ভোগান্তির কোনও শেষ ছিল না। মহাসড়কের উন্নয়ন মানুষের চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দেখা দিয়েছিল। টাঙ্গাইলের কালিহাতী থেকে গাজীপুরের ভোগড়া পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকাজুড়েই ছিল রাস্তা খানাখন্দ আর নানা প্রতিবন্ধকতা। ফলে প্রায় প্রতিদিনই যানজট এবং সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হতো সাধারণ যাত্রী ও গাড়ি চালকদের। ৫ ঘণ্টার রাস্তা ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগতো গন্তব্যে পৌঁছাতে। বর্তমানে মহাসড়কের ২৩টি ব্রিজ নির্মাণ প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পর তার সুফল ভোগ করতে পারছে মানুষ। যানজট নেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে: গত দুদিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট না থাকলেও গাড়ির চাপ ছিল বেশি। আজ সোমবার সকাল থেকে এই মহাসড়কে গাড়ির তেমন চাপ নেই। জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের ১০৪ কিলোমিটার এলাকা যানজট মুক্ত রয়েছে। মহাসড়কের দাউদকান্দির মেঘনা-গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা থেকে চৌদ্দগ্রামের পদুয়া পর্যন্ত একশ চার কিলোমিটার অংশে যানজট নেই। গত কয়েকদিন টানা যানজটের পরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে মহাসড়কের এই অংশে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপে যানবাহন বাড়লেও পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।





আরো খবর