বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৭:০০ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ০৪:৫৩:২৬ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের দু'গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত ১

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের দু'গ্রুপের মধ্যে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছুরিকাঘাতে সনি ইসলাম নামে সংগঠনের এক কর্মী নিহত ও আরও তিন জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার গোকূল মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সনি ইসলাম একই এলাকার জামায়াত আলীর ছেলে। বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) কামরুল ইসলাম সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে একজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সনি ইসলাম মারা যায়।' পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সদরের গোকূল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমানের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক বিপুল ইসলামের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়েই তাদের মধ্যে এই বিরোধ। তিন দিন আগে সভাপতির সমর্থকরা সাধারণ সম্পাদক সমর্থক রাসেল নামের এক কর্মীকে মারধর করে। এরই জের ধরে বেলা ১২টার দিকে বিপুল ইসলাম তার সমর্থকদের নিয়ে মিজানের বাড়িতে হামলা চালায়। তখন দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় মিজান, সনি, হাকিম ও মিজানের স্ত্রী সালমা আক্তার ইশা আহত হয়। প্রায় আধাঘণ্টা সংঘর্ষের পর এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সনি ইসলামের মৃত্যু হয়। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহ মেহেদী হাসান হিমু বলেন, 'মিজান ও বিপুল দুজনেই স্বেচ্ছাসেবক দলের সক্রিয় নেতা। তারা সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে একাধিক মামলার শিকার হয়ে কারাবরণ করেছেন। তারা জামিনে বের হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উসকানি দিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেন। এরই জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।' এ সংঘর্ষের জন্য আওয়ামী লীগ নেতারা দায়ী বলে দাবি করেন তিনি।





আরো খবর