সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মচারী ও লেকহেড স্কুলের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোতালেব ও নাসিরকে রোববার গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। আর মতিনকে গ্রেফতার করা হয় জঙ্গিবাদে অর্থায়নের অভিযোগে।
গ্রেফতারের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী ও মন্ত্রীর পিওর বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।
জানা গেছে, শনিবার বিকালে শিক্ষামন্ত্রীর পিও মো. মোতালেব হোসেনকে রাজধানীর বসিলা এলাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। মোতালেব সেখানে তার নির্মাণাধীন বহুতল বাড়ির কাজ তদারক করতে গিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে ওই দিন হাজারীবাগ থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। একই দিন রাজধানীর গুলশানের লেকহেড গ্রামার স্কুলের পরিচালক খালেদ হাসান মতিন নিখোঁজ হন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেষণে কর্মরত উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন নিখোঁজ হন। তিনি খিলক্ষেত এলাকার লেকসিটি কনকর্ডে থাকতেন। সব ঘটনাই নিখোঁজদের স্বজনরা সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ডিবি পুলিশ তাদের গ্রেফতার বা আটকের কথা অস্বীকার করেছে।
তবে রোববার রাতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী মো. নাসির উদ্দিনকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তার সঙ্গে যোগাযোগের সূত্র ধরে মোতালেব হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। অপর এক অভিযানে লেকহেড স্কুলের মালিক মো. খালেদ হাসান মতিনকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন এবং মন্ত্রীর পিও মোতালেব হোসেন এমপিও, বদলি, পদোন্নতি ও নিয়োগবাণিজ্যসহ নানা সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত। তাদের সঙ্গে ক্যাডার কর্মকর্তাসহ অনেক রাঘববোয়ালও জড়িত। এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছিলেন। এর মাধ্যমে তারা মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেন।
লোকজন বিস্ময় প্রকাশ করে বলছেন, যে নির্মাণাধীন ভবনের নিচ থেকে পিওকে তুলে নেয়া হয়, সেটি তার নিজের। একজন পিওর পক্ষে কীভাবে পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ সম্ভব?