মেয়েটি গেলো কই! এমন প্রশ্ন নিখোঁজ মেয়েটির বাবা-মা,আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীদের।
বিভিন্নস্থানে অনেক খোঁজাখোঁজির পর মেয়েটিকে না পেয়ে তার মা লাকি বেগম গতকাল রোববার হাজীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এরআগে গত ২০ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে আসার কথা বলে স্কুল ড্রেসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর বাড়িতে ফিরেনি। সে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বাকিলা ইউনিয়নের সন্না গ্রামের মনগাজী বাড়ির নুরুল ইসলামের মেয়ে ছোট মেয়ে জোৎনা বেগম(১৪)। সে ২০ জানুয়ারি সকাল সোয়া ৮টার দিকে ভর্তির জন্য বিদ্যালয়ে আসে। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি না ফিরে যাবার পর বিদ্যালয়সহ সম্ভাব্য সকলস্থানে খোঁজাখোঁজি করেন।
নিখোঁজ মেয়েটির মা লাকি বেগম জানান, স্কুল ড্রেস অর্থাৎ নেভী ব্ল্র জামা আর সাদা পায়জামা পড়ে বাড়ি থেকে বের হয়। আমার মেয়েটি ছোট একটি মেয়ে। সে কোথায়ও একা একা যাবে এমন বিষয় আমাদের কারো বিশ^াসযোগ্য নয়। সে মোবাইল ব্যবহার করতো না এমনকি তার কাছে কোন মোবাইল ফোন নেই। তার মুখমন্ডল গোলাকার, হালকা-পাতলা স্বাস্থ্য, মুখে হালকা দাগ উচ্চতা অনুমানিক সাড়ে ৩ ফুট, গায়ের রং শ্যামলা।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মাইনুদ্দিন আহম্মেদ শীর্ষনিউজকে জানান, আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। আমরা হাসপাতাল, মেয়েটি সহপাঠীসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান মেয়েটি নিখোঁজের খবর তার অভিভাবক থেকে জানতে পেরেছি। আমি ব্যস্ত থাকায় সম্ভ্যাব্য খবর নিতে পারিনি। তবে ২০ জানুয়ারি মেয়েটির হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নেই