বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান, ১৪৪৫ | ১০:২৭ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


রোববার, ২১ জানুয়ারী ২০১৮ ০৪:৪৩:৫১ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

তিন ছাত্রীকে মদ্যপ ছাত্রলীগ কর্মীদের হাত থেকে রক্ষা করলেন প্রক্টর

তিন ছাত্রীকে মদ্যপ ছাত্রলীগ কর্মীদের হাত থেকে রক্ষা করলেন প্রক্টর। প্রক্টর ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শেখ হাসিনা হলের তিন ছাত্রী মফিজ লেক এলাকায় ঘুরতে যায়। সেখানে মদ্যপ অবস্থায় ছাত্রলীগ কর্মী ইউসুফ, ইমতিয়াজ এবং বহিরাগত মুহাইমিনুল ইসলাম ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এমন সময় ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানকে ফোন দিয়ে, ‘স্যার আমাদের বাচান’ বলে আকুতি জানায়। প্রক্টর দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে নিজেই তাড়া করে ওই তিনজনকে আটক করে এবং তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে আটক তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করে প্রক্টর। রোববার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেক সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। উত্ত্যক্তকারী দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছিনিয়ে নেয়া দুই ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন, ইংরেজি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ইমতিয়াজ। এ সময় পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতর্ক হয়। তখন এক পুলিশ কর্মকর্তা অসহায়ভাবে বললেন, ‘ছোট ভাই তোমাকে ভালোবাসি কিন্তু কাজটা ঠিক করলে না।’ পরে পুলিশ বহিরাগত মুহাইমিনুলকে নিয়ে থানায় চলে যায়। ভুক্তভোগী এক ছাত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ওদের তো নেতারা ছাড়িয়ে নিয়ে গেল। এখন আর কিছুই হবে না। আমরা স্বাভাবিকভাবে আর চলাফেরা করতে পারব না। ওরা আমাদের দেখলেই এর প্রতিশোধ নেবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কমলেশ দাস বলেন, আটক তিনজনকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় আরাফাতসহ ছাত্রলীগের কর্মীরা দু’জনকে ছিনিয়ে নেয়। একজনকে থানায় নিয়ে এসেছি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান বলেন, দায়িত্বরত পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো কর্মী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, যে কোনো ধরনের অপতৎপরতা এবং অপকর্ম প্রতিরোধে ইবি প্রশাসন যেভাবে জিরো টলারেন্স দেখিয়ে আসছে তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে প্রক্টর হিসেবে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তারা যত শক্তিশালী হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।





আরো খবর