মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ৭ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৩:৫৯ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০১৮ ১২:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত দেড় শতাধিক

ফরিদপুরের সালথা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে তিনটি সংঘর্ষে অন্তত দেড় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় অন্তত ১৫টি বসতঘর ও দোকান ভাংচুর করা হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে উপজেলার মাঝারদিয়া এবং রামকান্তুপুর এলাকায় এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মাঝারদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হামিদের সমর্থক গিয়াস মাতুব্বরকে মারধর করে মাঝারদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সেলিম মাতুব্বরের সমর্থকরা। এ নিয়ে সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ। এতে অন্তত ৫০জন আহত হয়। এ সময় ৬১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এই সংঘর্ষের জের ধরে শনিবার সকালে একইস্থানে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় ৭০জন আহত হয়। এ সময় ৫টি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এরআগে শুক্রবার রাতে উপজেলার রামকান্তুপুর এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলীর সমর্থকদের সাথে ও রামকান্তুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলতাফ মোল্যার সমর্থদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৩০জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ১৫টি বসতঘর ও দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। এসব সংঘর্ষে আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল, সদর ও নগরকান্দা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে উভয় সংঘর্ষের স্থানে গিয়ে টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত।





আরো খবর