বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৮:৩৩ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০১৮ ০৪:২৫:৪০ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

ডিএনসিসি নির্বাচন স্থগিতে সরকারের ইচ্ছের বাইরে যাচ্ছে না ইসি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়রপদে উপ-নির্বাচন, ১৮টি ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৮টি ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচন হাইকোর্ট তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। রাজনৈতিক মহল, সাধারণ সচেতন জনগণসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলসহ অধিকাংশ মানুষই নির্বাচন স্থগিতের এই পদক্ষেপে সরকারকে দায়ী করছে। যদিও সরকার এ ধরনের ষড়যন্ত্রের কথা অস্বীকার করেছে। মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে মেয়র পদটি শূন্য হওয়ার পর থেকেই এমন খবর প্রচারিত হচ্ছিল যে, সরকার তথা আওয়ামী লীগ এই পদে উপনির্বাচন চাচ্ছে না। সরকারের ভেতর থেকেই এ খবরগুলো ফাঁস হচ্ছিল। এর কারণ, ডিএনসিসিতে নির্বাচন হলে কোনও ক্রমেই আওয়ামী লীগের পরাজয় ঠেকানো যাবে না বলে অনেকেই মনে করেন। তাছাড়া বর্তমান প্রেক্ষাপটে বেশি জোর-জবরদস্তিও করা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের উদ্যোগ নিলে শুরুতেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করা হয়। তারপরও নির্বাচন কমিশন এগিয়ে যাওয়ার সাহস দেখানোর চেষ্টা করে। বেশ জোরেশোরেই নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি নেয়। বলা হয়, এই উপনির্বাচনে আর কোনও বাধা নেই। নির্বাচন আয়োজনের কাজে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি স্বাধীন। এই কাজে তারা কারো বাধা মানবে না বলেও জানায়। অথচ নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে যে, তারা এ ব্যাপারে সরকারের ইচ্ছের বাইরে যেতে আগ্রহী নয়। বৃহস্পতিবার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, নির্বাচন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ইসির এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তিনি জানান, হাইকোর্টের আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করবে। কিন্তু, হাইকোর্ট নির্বাচন স্থগিত করার পর পরই নির্বাচন কমিশন ইচ্ছে করলে হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিতের জন্য চেম্বার জজ আদালতে বা আপিল বিভাগে যেতে পারতো। তা তারা করছে না। উল্লেখ্য, এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার হাইকোর্ট ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়রপদে উপ-নির্বাচন, ১৮টি ওয়ার্ড নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন। আর বৃহস্পতিবার আরেক রিটের আদেশের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচন হাইকোর্ট তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। আদেশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থায় যাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিস্তারিত আদেশ আমরা পাইনি। গণমাধ্যম ও উকিল নোটিশের মাধ্যমে কিছুটা জানতে পেরেছি। আদেশটি হাতে পাওয়ার পর কমিশনে উপস্থাপন করা হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন ইসি।’ কিন্তু, হাইকোর্টের বিস্তারিত আদেশ কবে নাগাদ পেতে পারেন, এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন। তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু, স্থানীয় সরকার নির্বাচন মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ইসি ব্যবস্থা করে থাকে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়-ই নির্ধারণ করে দেবে- কোন নির্বাচন আমরা করব, কোনটা করব না। ডিএনসিসির ক্ষেত্রেও মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ পাওয়ার পরে আমরা কাজে হাত দিয়েছিলাম। তফসিলও ঘোষণা করা হয়েছিল। এখন হাইকোর্টের আদেশ হাতে পাওয়ার পরই বুঝতে পারব ঠিক কোন কারণে এমনটি ঘটল।’ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে কি আপনারা কোনো ত্রুটি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, যেগুলোর কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যেতে পারে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনুরোধপত্র পাওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। আমরা ধারণা করি, মন্ত্রণালয় যখন কোনো অনুরোধপত্র পাঠায়, সবকিছু ঠিক করেই পাঠায়।’ নির্বাচন স্থগিতে কমিশনের কোনো গাফিলতি ছিল কিনা জানতে চাইলে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, ‘আমাদের গাফিলতির কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আমরা আদেশ পাওয়ার পরই বুঝতে পারব ঠিক কি কারণে হাইকোর্ট নির্বাচন স্থগিত করলেন?’





আরো খবর