বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ৯ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ১০:১৩ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৮ ০৫:৪৫:৫৪ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

টানা ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড আওয়ামী লীগের

বিতর্কিত নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় দফায় মন্ত্রিপরিষদ গঠনের ৪ বছর পূর্ণ হলো শুক্রবার (১২ জানুয়ারি)। সেই সঙ্গে টানা পুরো ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড গড়লো দলটি। উল্লেখ্য, এর আগে টানা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড ছিল স্বৈরাচারী এরশাদের। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বিচারপতি আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের হাত থেকে বন্দুকের মুখে ক্ষমতা দখল করেন জেনালের এরশাদ। দেশের মানুষের দীর্ঘ সংগ্রাম, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। ওইদিন পর্যন্ত প্রায় পৌনে ৯ বছর এরশাদ টানা ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড গড়েন। এতোদিন যদিও দেশের বৃহত্তম দু’টি রাজনৈতিক দল দফায় দফায় ক্ষমতায় এসেছে, এরশাদের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সেই রেকর্ডই অতিক্রম করলো। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসীন হয়। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ইতিহাসের সবচে’ প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে দলটি টানা দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতায় আসে। তবে এই নির্বাচন নিয়ে ওই সময় দেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটও তৈরি হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে। শুধু বিএনপিই নয়, বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে থাকা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণফোরাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ আরও কিছু রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও এরশাদের জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), তরীকত ফেডারেশনের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরশাদ ওই নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। অসুস্থতার কথা বলে তাকে জোর সিএমএইচ-এ আটকে রেখে রওশন এরশাদকে দিয়ে নির্বাচন করানো হয়। বিএনপি শুধু নির্বাচন বর্জন করেই থেমে থাকেনি। ওই নির্বাচন প্রতিহত করতে লাগাতার আন্দোলনও চালিয়ে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সরকার মার্কিন ও বৃটিশ রাষ্ট্রদূতকে বেগম খালেদা জিয়ার কাছে পাঠিয়ে আন্দোলন স্থগিত রাখার ব্যবস্থা করে। বলা হয়, এটি সংবিধান রক্ষার নির্বাচন। এই সময় প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় যে, এক বছরের মধ্যে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু, তা আর করা হয়নি। আর এরই প্রেক্ষাপটে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের এক বছরপূর্তিতে আন্দোলনে নামে বিএনপি। লাগাতার ৯২ দিন অবরোধ চলে। দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারের ৪ বছরপূর্তি উপলক্ষে বিগত সময়ে সফলতাগুলো তুলে ধরে শুক্রবার ১২ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।





আরো খবর