বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান, ১৪৪৫ | ০২:০৩ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ১১:২৩:১৫ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

আমার ভোট আমি দেব, দেখে শুনে বুঝে দেব

ঢাকা: এম হাফিজউদ্দিন খান সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেছেন, ‘আমরা চাই রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক, ভালো মানুষ নির্বাচিত হোক। তাই আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব, এই স্লোগান এখন বাদ। আমরা বলছি, আমার ভোট আমি দেব, দেখে শুনে বুঝে দেব।’ আজ সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সুজনের এক সংবাদ সম্মেলনে হাফিজউদ্দিন খান এ কথা বলেন। রংপুর সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্যের ওপর তৈরি করা গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্যের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘আজকে খবরের কাগজে দেখলাম, একটি দলের মহাসচিব বলেছেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ থাকবে না। তার মানে কী, ইচ্ছে করলে হস্তক্ষেপ করতে পারেন; দয়া করে করছেন না। এ ধরনের বক্তব্য অন্যায়, বে আইনি।’ সংবাদ সম্মেলনে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার রংপুর সিটি নির্বাচনে সাত মেয়র পদপ্রার্থীসহ ২৮৪ জন প্রার্থীর তথ্য তুলে ধরেন। বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৬৭ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা এর নিচে। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীর সংখ্যা ৬১। এর মধ্যে সাত মেয়র প্রার্থী মো. আবদুল কুদ্দুছ ও এটি এম গোলাম মোস্তফা স্নাতকোত্তর, মো. কাওছার জামান, মো. মোস্তাফিজার রহমান ও সরফুদ্দীন আহম্মেদ স্নাতক এবং মো. সেলিম আখতার ও হোসেন মকবুল শাহরিয়ার এইচএসসি পাস। সাত মেয়র প্রার্থীর পাঁচজনই ব্যবসায়ী। একমাত্র সরফুদ্দীন আহম্মেদ নির্বাচন কমিশনের হলফনামার ঘরে পেশা হিসেবে রাজনীতি উল্লেখ করেছেন। আর মেয়র প্রার্থী আবদুল কুদ্দুছ পেশার ঘর পূরণ করেননি। হলফনামার তথ্যে দেখা যায়, সাত মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আবদুল কুদ্দুছের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আছে এবং মোস্তাফিজার রহমানের ও সরফুদ্দীন আহম্মেদের বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদারি মামলা ছিল। মো. কাওছার জামানের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে এবং আগেও ছিল। বাকি তিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্তমানে বা অতীতে কোনো ফৌজদারি মামলা ছিল না। এ ছাড়া ২১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৫২ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে, ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অতীতে এবং ১৭ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা ছিল বা আছে। সাত মেয়র প্রার্থীর মধ্যে বেশি সম্পদের মালিক সরফুদ্দীন আহম্মেদ। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন কাওছার জামান। সরফুদ্দীন ২০১২ সালেও মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন। গতবারের চেয়ে ২০১৭ সালে তাঁর সম্পদের আয়কর বেড়েছে ৪১৬১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। অন্যদিকে, গতবারের দুই প্রার্থী কাওছার জামান ও মোস্তাফিজার রহমানের আয় কমেছে। এক প্রশ্নের জবাবে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিরাজ করছে। এ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে উত্তেজনা বাড়ে। সে পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’





আরো খবর