রংপুর: রংপুরের পীরগঞ্জে বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে আ’লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
শনিবার ১০টায় উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী বন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিজয় র্যালীতে যোগদানকৃত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা দিকবিদিক ছুটোছুটি করতে থাকে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন আ’লীগের বহিস্কৃত সভাপতি আব্দুল হালিম মিয়ার দলীয় কার্যালয় ভাংচুর করে।
এ সময় ভেন্ডাবাড়ী বন্দর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ঐ সময় স্থানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দের পুলিশসহ অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন আ’লীগের সদ্য বহিস্কৃত সম্পাদক রেজাউল করিম পঁচা, ছাত্রলীগ নেতা তাইফুল ইসলাম ও লাইজু মিয়া নামের ৩ আ’লীগ কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। আহতদের পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ, দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত ইউপি নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন আ’লীগের নির্বাচিত সভাপতি আব্দুল হালিম মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম পঁচাকে উপজেলা আওয়ামী লীগ বহিস্কার করে।
দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শহিদুল ইসলামকে আহ্বায়ক, সাবেক চেয়ারম্যান মন্জুর হোসেন মন্ডল ও শহিদুল ইসলাম লালকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। এতে ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন আ’লীগ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং দু’পক্ষেই নিজেদের বৈধ দাবি করে পৃথক পৃথক দলীয় কার্যালয় খুলে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
শনিবার সকালে আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের র্যালী ভেন্ডাবাড়ী বন্দর প্রদক্ষিণ করার সময় বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম পঁচা ও তার নেতাকর্মীরা র্যালী হতে ব্যানার ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এতে যুগ্ম আহ্বায়ক মন্জুর হোসেন মন্ডলসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। এদিকে আহ্বায়ক গ্রুপের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা বহিস্কৃত সভাপতি আব্দুল হালিম মিয়ার দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে দু’পক্ষের পাল্টা পাল্টি মামলা প্রস্তুতি চলছে।