জাতীয় / ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলার কথা ভাবছি: অর্থমন্ত্রী
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৩১:২১ অপরাহ্ন
ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলার কথা ভাবছি: অর্থমন্ত্রী
ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের ব্যাংক আরসিবিসির (রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন) বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে এর আগে ফিলিপাইন সরকারের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয়। তাদের পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন গড়িমসি করছে। এ কারণে মামলার কথা ভাবছি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলব।
শনিবার রাজধানীতে প্রাণিবিজ্ঞান সমিতি বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ৫৩২ কোটি টাকা ফেরত আনতেই এই মামলার প্রস্তুতি। প্রচলিত আইনে এই ঘটনার ৩৬ মাসের মধ্যে ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে বাংলাদেশকে। ইতিমধ্যে অতিবাহিত হয়েছে ২১ মাস। মাত্র ১১৬ কোটি টাকা (১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার) উদ্ধার ছাড়া কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে সরকার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় টাকা ফেরত আনার উদ্যোগের পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মামলা প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার আজমালুল হকের লিখিত মতামত চাওয়া হয়েছে। আর মামলা করার ব্যাপারে একমত হয়েছে রিজার্ভ চুরির অর্থ ফেরত আনা সংক্রান্ত সরকার গঠিত টাস্কফোর্সও।
এদিকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানায়, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের ব্যাংক আরসিবিসির বিরুদ্ধে যৌথভাবে মামলা দায়েরের জন্য আলোচনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক।
নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও নিউইয়র্ক ফেডের কর্মকর্তারা কনফারেন্স কলের মাধ্যমে আরসিবিসির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক মামলার বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠাবে নিউইয়র্ক ফেডের কাছে।
একটি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের মার্চ-এপ্রিলের দিকে নিউইয়র্কে মামলা দায়েরের লক্ষ্য রয়েছে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিউইয়র্ক ফেড অ্যাকাউন্ট থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে হ্যাকাররা। সুইফট সিস্টেমের মাধ্যমে ভুয়া আদেশে এই অর্থ চুরি করে তা পাঠানো হয় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোশেনে। সেখান থেকে এই অর্থ চলে যায় দেশটির ক্যাসিনোগুলোতে।
রিজার্ভ চুরির প্রায় দুই বছর হতে চললেও এই হ্যাকিংয়ের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পারেনি বাংলাদেশ। আর উদ্ধার করা হয়েছে মাত্র দেড় কোটি ডলার।