মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০২:৪০ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ১০:১০:২৮ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

শামীম ও সেলিম ওসমান সম্মানিত নেতা: কাদের

নারায়ণগঞ্জ: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের সম্মানিত ও প্রভাবশালী নেতা। এখানে মহানগর, জেলা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সকল নেতাদের আমি বলবো আপনারা নারায়ণগঞ্জকে ঐক্যবদ্ধ রাখুন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের ত্রিবোনী মিনারবাড়ি এলাকায় শামসুজ্জোহা (এমবি) ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্বোধনের সময় এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এরপর দুপুর সোয়া ১টায় স্কুলটির উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদের। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার এই নারায়ণগঞ্জ। আমাদের সকল সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জ থেকে গড়ে উঠেছিল দুর্বার আন্দোলন। বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন, সংগ্রামের সাথী ছিল এই নারায়ণগঞ্জ। শীতলক্ষ্যা পাড়ে এই পূণ্যভূমিতে এসে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এই নারায়ণগঞ্জে কোনও সমাবেশে আমার প্রথম আগমন। এই অনুষ্ঠানটি স্কুল নিয়ে, স্কুলের দাবি দাওয়া নিয়ে এবং স্কুলের সকল বিষয় এখানে আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত। সেতুমন্ত্রী বলেন, সেলিম ওসমান সাহেব আমার একজন প্রিয় মানুষ। এত গুণের সমাহার একজন মানুষের মধ্যে এটি ভাবতেও অবাক লাগে। একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন সফল ব্যবসায়ী, একজন সফল শিল্পপতি, একজন সফল কৃষক, একজন সফল সংগঠক, একজন সফল শিক্ষানুরাগী এবং সবশেষ একজন সফল রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধি। একজন মানুষের মধ্যে এত গুণের সমাহার- তিনি হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় সেলিম ওসমান। মন্ত্রী বলেন, টাকা পয়সা অনেকের কাছেই থাকে। সেলিম ওসমান সাহেবের চেয়ে ধনী এ দেশে অনেকে আছেন। কিন্তু খরচ করার মত মনমানসিকতা নেই। এই স্কুলটি ছিল নাসিম ওসমানের স্বপ্ন। ছোট একটি ঘর থেকে বিশাল কমপ্লেক্স। ৩০ কোটি টাকা নিজের পকেট থেকে একটি স্কুলের জন্য যিনি খরচ করতে পারেন এমন বড় মনের মানুষ, বড় মনের টাকাওয়ালা এদেশে খুব কম। পথে পথে আমি তার জনপ্রিয়তার প্রমাণ পেলাম। এই দুপুর বেলাও হাজার হাজার মানুষ মদনপুর থেকে এই বন্দর পর্যন্ত অপেক্ষমান। ফুল আর ফুল, ফুলের পাপড়ি। অনেক সুন্দর। তিনি আরও বলেন, আমি শুধু এতটুকুই বলতে চাই, একটি ব্রিজের জন্য এত ফুল কেন? একটি ব্রিজের জন্য এত তোড়ণ কেন? একটি ব্রিজের জন্য এত ফুলের পাপড়ি কেন? আমার ছবি দিয়ে এত তোড়ণ কেন? যেখানে যা প্রয়োজন তা করা মন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব। আমি এখানে ফুলের মালা, পাপড়ি নিতে আসিনি। আমি এখানে শত শত ব্যানার, তোড়ণ, বিলবোর্ড দেখতে আসিনি। এই যে ফুল, বাগানের ফুল, এক ঘণ্টা কি বড়জোর দুইঘণ্টা পর ফুল শুকিয়ে যাবে। ব্যানারের ওই ছবি মুছে যাবে। বিলবোর্ডের ছবি মুছে যাবে। বাগানের ফুল শুকিয়ে যাবে। পাথরে লিখোনা নাম খয়ে যাবে, হৃদয়ে লিখো নাম- রয়ে যাবে। সেলিম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই যে তিনি পকেটের টাকা খরচ করে স্কুল করেছেন- এটিই হচ্ছে হৃদয়ে লেখা নাম, যা রয়ে যাবে। আমি যেখানে বেশি ফুল পাই সেখানে ভয় পাই। কারণ ফুল বেশি পেলে আমার মনে হয়, এটি ভালোবাসার ফুল নয়- স্বার্থের ফুল। কিন্তু জনগণের স্বার্থ হলে আমি গুরুত্ব দেই। নাসিম ওসমান আজকে নেই। কিন্তু তার স্বপ্নের শীতলক্ষ্যা সেতুর কাজ শুরু হয়ে গেছে। এই সেতুর পর এখন আবারও আরেকটি সেতুর দাবি উঠেছে। জনগণের সরকার, জনগণের দাবিকে এড়িয়ে যেতে পারে না। কাজেই এই সেলিম ওসমান সাহেব তিন বছর ধরে আমার পেছনে লেগে আছেন, ঢাকা গেলেই আমার পিছু ধরেন। কী দরকার- সেতু দরকার। তিনি আরো বলেন, দেখুন একটি সেতু করতে অনেক সময় লাগে। শীতলক্ষ্যা সেতু আমরা অনেক আগেই করতে পারতাম। এটি বিদেশি প্রজেক্ট। ধাপে ধাপে সবকিছু করতে হয়। একটি ব্রিজ করতে হলে কতগুলো প্রেসেস লাগে, যেগুলো আমাদের ফলো করতে হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রথমত আমি খেয়ার স্থানে ফেরি চালু করে দিচ্ছি। আমি মন্ত্রী হিসেবে বলে দিলাম, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ফেরি চালু হবে। আগামী ৮ মাসেই এই সেতু দৃশ্যমাণ পাবেন না। কারণ আমি সেই কথা বলবো না, সেই ওয়াদা দেব না যেটা রাখতে পারবো না। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা তোমরা কি মাদককে ঘৃনা করো? মাদক আমাদের দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমি আমাদের অভিভাবকসহ সকলের কাছে বলছি, আপনাদের ছেলেদেরসহ আমাদের সমাজের ভবিষ্যৎকে রক্ষা করতে হবে। এখানে কোনও রাজনীতি নেই। মাদক দলমত নির্বিশেষে আমাদের সকল শত্রু। সবাই মিলে মাদককে না বলতে হবে। এ সময় সকল শিক্ষার্থীদের তিনি মাদককে না বার্তা দিয়ে অঙ্গিকার করান। শিক্ষার্থীদের বলি, তুমি যদি মুরুব্বিদের সম্মান না করো, তুমি যদি তোমার শিক্ষকদের সম্মান না করো তাহলে তুমি বড় হলে তোমাকেই কেউ সম্মান করবে না। এখানে সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের সম্মানিত ও প্রভাবশালী নেতা। এখানে মহানগর, জেলা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সকল নেতাদের আমি বলবো আপনারা নারায়ণগঞ্জকে ঐক্যবদ্ধ রাখুন। বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাব্বি মিয়া, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মঈনুল হক, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি আবু জাহের প্রমুখ।





আরো খবর