শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান, ১৪৪৫ | ০১:০০ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০১৭ ১২:২৭:০১ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

ক্ষমতায় না থাকলে ৫০০০ পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না: কাদের

সিরাজগঞ্জ: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলের ভেতরে প্রতিযোগিতা থাকবে, সেটা যেন অসুস্থ না হয়। যাঁরা উন্নয়ন করবেন আর সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করবেন, আগামী নির্বাচনে তাঁদেরকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের কাছে টেনে নিন। ঐক্যবদ্ধ থাকুন। আজ বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার শক্তিপুর নূরজাহান ভবন চত্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলে অনুপ্রবেশকারী আগাছাদের ঠাঁই দেবেন না। দল ক্ষমতায় না থাকলে পাঁচ হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলামের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতার নেত্রী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মহান আল্লাহপাক বঙ্গবন্ধুকে সৃষ্টি করেছেন বাংলার স্বাধীনতার জন্য আর শেখ হাসিনাকে সৃষ্টি করেছেন মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। শেখ হাসিনা এখন সারা বিশ্বের বিস্ময়। সোয়া ছয় লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও খাদ্য দিয়ে তিনি উদারতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের তা চোখে পড়ে না। বিএনপির আন্দোলন আর কোনোদিন সফল হবে না বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আলোর পথে রয়েছে। আর বিএনপি মানে হাওয়া ভবনের দুর্নীতি ও লুটপাট, বিএনপি মানে অগ্নিসন্ত্রাস। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশ আবারও অন্ধকারে পতিত হবে। বাংলার মানুষ আর বিএনপির অন্ধকারে ফিরে যাবে না। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ফটোসেশনের জন্য তিনি (খালেদা জিয়া) একবার বিশাল গাড়িবহর নিয়ে কক্সবাজার গিয়ে শোডাউন করেছেন। তাঁর দলের মহাসচিবও একবার গিয়েছিলেন। অথচ আমি ২৫ দিন রোহিঙ্গাদের পাশে ছিলাম। কোনটা মন থেকে আর লোকদেখানো তা মানুষ বোঝে।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের রক্তাক্ত ইতিহাস বাংলার মানুষ ভোলেনি। ২০১৩-১৪ সালের অগ্নিসন্ত্রাসের কথাও ভুলে যায়নি। ক্ষমতায় থাকতে তারা সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া, মঞ্জুরুল ইমাম, আহসানউল্লাহ মাস্টারসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। মা-বোনদের ধর্ষণ করেছে। আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীর রক্ত ঝরিয়েছে। রক্তের নদী আর কান্নার দরিয়ায় ভাসিয়েছে মানুষকে। এখন তারা আবার লোকদেখানো মায়াকান্না করছে। বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি নেত্রী লন্ডনে চলে গেলেন, আন্দোলন থাকল তাঁর ভ্যানিটি ব্যাগে। এই বছর না সেই বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর? পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যা, গাড়ি পোড়ানো, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ও গাছ ধ্বংস করার আন্দোলনের সঙ্গে বাংলার মানুষ আর নেই।





আরো খবর