বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান, ১৪৪৫ | ১০:১৩ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:১২:০৫ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

তনুর পরিবারকে ঢাকায় ডেকেছে সিআইডি

কুমিল্লা: রহস্যে ঘেরা ও বহুল আলোচিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ২০ মাস পূর্ণ হয়েছে ২০ নভেম্বর সোমবার। কিন্তু দীর্ঘ এ সময়েও তনুর ঘাতকরা অধরাই রয়ে গেছে। তদন্তের একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে রহস্য। নেই দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি। এসবের মধ্যেই বুধবার ঢাকাস্থ সিআইডি কার্যালয়ে তনুর বাবা-মাসহ পরিবারের ৫ সদস্যকে যাওয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। সোমবার রাতে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তনুর মা আনোয়ারা বেগম। আনোয়ারা বেগম বলেন, আর আমাদের কতো জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিআইডি। আসামিদের আইনের আওতায় না এনে বারবার আমাদের জিজ্ঞসাবাদের নামে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সোমবার কুমিল্লা সিআইডি অফিস থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে আমি, আমার স্বামী, দুই ছেলে ও তনুর চাচাতো বোন লাইজুকে নিয়ে ঢাকায় সিআইডি অফিসে যেতে। মেয়ে হত্যার বিচারের আশায় ওই দিন আমরা ঢাকায় যাবো। ‘আমি শুরুতে যাদের নাম বলেছি, বার বার এক কথাই বলে আসছি। যাদেরকে ধরতে বলেছি, তাদের ধরলেই সব কিছু খোলাসা হয়ে যাবে।’ এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন আহমেদ জানান, ‘তনু হত্যার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের শনাক্ত করতে সিআইডি কাজ করে যাচ্ছ।’ তবে তনুর পরিবারের ঢাকায় যাওয়ার বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজী হননি। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতর একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ও ডিবি’র পর গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্ত করছেন কুমিল্লা সিআইডি। তনুর দুই দফা ময়নাতদন্তে কুমেকের ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ না করে প্রতিবেদন দেয়ায় ঘটনার রহস্য উৎঘাটন নিয়ে শুরু থেকেই সংশয় দেখা দেয়। শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট। গত বছরের মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে ৩ জনের শুক্রানু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। হত্যার আগে তনুকে ধর্ষণ করা হয়েছিল এমন তথ্যও তারা নিশ্চিত হয়েছিল। পরে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ মেলানোর কথা থাকলেও তা করা হয়েছে কিনা কিংবা ফলাফল কী এ নিয়ে মুখ খুলছে না সিআইডি। তাই দীর্ঘ ২০ মাসেও তনু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে না পারায় মেয়ে হত্যার বিচার পাওয়া নিয়ে তনুর পরিবারসহ সচেতন মহলে সংশয় দেখা দিয়েছে।





আরো খবর