বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ১০:২০ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭ ১০:৪২:১৫ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে তাই আবল-তাবল বকছে: গয়েশ্বর

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গত ১২ নভেম্বর বিএনপির যে সমাবেশ হয়েছে, তার চার ভাগের এক ভাগ লোক হয়েছে ১৮ নভেম্বর। ১২ নভেম্বরের মতো জনসমুদ্র আওয়ামী লীগ-বিএনপি কেউই এর আগে করতে পারেনি। রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ ঐতিহাসিক। এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভে হিংসার কিছু নেই। একাত্তরের ৭ মার্চে দেড়-দুই লাখ মানুষ হয়েছিল। আর শনিবার হয়েছে ৫০ হাজার। এর জন্য চীনমৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রই যথেষ্ঠ ছিল। আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় কোনো মাটি নেই মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে তাই সরকারদলীয় নেতারা আবল-তাবল বকছে। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন পালনে যত ধরনের বাধা দেয়া সম্ভব তা দিতে পুলিশকে নিদের্শ দিয়েছে সরকার। তাই পুলিশ তারেক রহমানের জন্মদিনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। আ‌লোচনাসভায় আরো বক্ত‌ব্য রা‌খেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএন‌পির কেন্দ্রীয় নেতা ও স্বাধীনতা ফোরাম সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ। দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, আছে আ.লীগ ও হাসিনা তন্ত্র: গয়েশ্বর দেশে আজ গণতন্ত্রের পরিবর্তে আওয়ামী লীগ তন্ত্র ও হাসিনা তন্ত্র বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে গুম-খুনের পথকে প্রশস্ত করেছে। দেশে একটাই সঙ্কট আর সেই সঙ্কটের প্রধান হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা। জাতীয় প্রেসক্লাবের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট, আগামী জাতীয় নির্বাচন: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বন্ধু দল এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর বলেন, ‘ভোটারবিহীন সরকার আবারো একটি অবৈধ নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে। সেই ষড়যন্ত্র সফল করার জন্য জিয়া পরিবারকে নির্বাচনের বাইরে রেখে বিএনপির কোনো কোনো নেতাকে যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিয়ে আরেকটি পাতানো নাটক মঞ্চস্থ করে তবে সেই নির্বাচনে যেসব নেতারা অংশগ্রহণ করবেন তাদের পরিণতি মান্নান ভূঁইয়ার চেয়েও খারাপ হবে।’ নেতাকর্মীদের প্রতি গণআন্দোলন গড়ে তুলে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নির্বাচনের বাইরে রেখে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এজন্য সবাইকে আগামী দিনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে দুঃশাসনের পতন ঘটাতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। আছে আওয়ামী লীগ তন্ত্র ও হাসিনা তন্ত্র। তারাই গণতন্ত্র ধ্বংস করে গুম-খুনের পথকে প্রশস্ত করেছে। দেশে একটাই সংকট- সেই সংকটের প্রধান হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা। তাদেরকে যদি আন্দোলন করে পরাজিত করা যায় দেশে আর কোনো সংকট থাকবে না। দেশের মানুষ তখন আবারও ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পাবে।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণ সরকারের ওপর ক্ষুদ্ধ। তাদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে যোগ্য সাহসী নেতৃত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারছি না আমরা। এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার করে আমরা ঘরে বসে আছি। রাজপথে নামছি না। এভাবে আন্দোলন হবে না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করে কিছু হবে না দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, আলোচনা হবে যারা আইন মানে, বিধান মানে এবং কথা শুনে। আওয়ামী লীগ তো ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। ভিন্নমত হলেই গ্রেফতার ও মামলা দেওয়া হয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মতপ্রকাশের ন্যূনতম স্বাধীনতা তারা পাচ্ছে না। বন্ধু দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শরীফ মোস্তফাজামান লিটুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এইচএম আমিনুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. মুনীর হোসেন





আরো খবর