মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০২:২৬ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০২:১০:৪০ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

ভবিষ্যতে কেউ যেনো ইতিহাস বিকৃতি করতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: একটি দলের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছেন। এই ইতিহাস বিকৃতকারীরা যাতে আর ক্ষমতায় আসতে না পারে সেই জন্য সকল সজাগ থাকতে হবে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক কমিটি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে আর কেউ ইতিহাস বিকৃতি করতে না পারে সেই জন্য সতর্ক থাকতে হবে। আজ বিকেলে চারটা ২০ মিনিটের দিকে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। চারটা ৪৮মিনিটে তিনি বক্তব্য শেষ করেন। ৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে এই সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছান। সমাবেশে শেখ হাসিনা বলেছেন, আজ সকলে একত্রিত হয়েছি কেন? আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ স্বাধীন। এই স্বাধীনতা ৯ মাসের যুদ্ধের ভেতর দিয়ে লাখো মানুষের প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে এর অর্জন করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই, ইউনেস্কোকে, যারা স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমার মনে আছে এখানে ওই সময় ভাষণ দেওয়া হয়েছিল তখন পাকিস্তানিরা সব সময় আমাদের দাবিয়ে রাখতো। বাংলা বাদ দিয়ে উর্দুকে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। সেই সংগ্রামের পথ ধরে ৬ দফা এসেছিল। বাঙালিরা ক্ষমতায় যাবে তারা মেনে নিতে পারেনি। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষ এসেছিল। বঙ্গবন্ধু ধীরে ধীরে একটি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য জাগ্রত করেছিলেন। স্বতন্ত্র স্বত্তার জন্য জাগিয়ে তুলেছিলেন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে আর যেন ইতিহাস বিকৃতির সুযোগ না পায় সেজন্য বাংলাদেশের মানুষকে জাগ্রত হতে হবে। তিনি বলেন, ইতিহাসকে কখনও দমিয়ে রাখা যায় না। ইতিহাস তার জায়গা খুঁজে নেয়। যেমনটি ৭ মার্চের ইতিহাস আজ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তি রচিত হয়েছিল ৭ই মার্চ। উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশের আরও ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে গতমাসে ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করে নেয় ইউনেস্কো। এরই প্রেক্ষিতে আজকের সমাবেশ আয়োজন করা হয়।





আরো খবর