শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান, ১৪৪৫ | ০১:৪২ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৫২:০৫ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

বিএনপির সমাবেশে সরকার বাঁধা না দিলেও পারতো: কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল: কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, প্রায় দুই বছর পরে একটি রাজনৈতিক দল ঢাকা শহরে সমাবেশ করেছে। বিএনপির এই সমাবেশে সরকার বাঁধা না দিলেও পারতো। রাজনৈতিক আবহাওয়াকে যখনই চারদিক থেকে লোহার খাঁচায় বন্দি করা হবে, তখন সেখানে অশুভ শক্তির তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে। শুক্রবার দুপুরে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, মওলানা ভাসানীর মত মানুষ আমাদের দেশে আজ যে সম্মান পাওয়ার কথা ছিল তার দেওয়া হয় না। কারণ আমাদের রাজনৈতিক সাংস্কৃতি থেকে মনুষত্ব ধ্বংস হয়ে গেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হাসমত আলী প্রমুখ। বিএনপির মত জনসমাবেশ আ’লীগ ১০০ বছরেও করতে পারবে না: কাদের সিদ্দিকী ঢাকায় বিএনপির জনসমাবেশে যে পরিমাণ লোক হয়েছিল, তা আওয়ামী লীগ আরও একশ’ বছর চেষ্টা করলেও বাংলার বুকে এতো বড় জনসমাবেশ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। বুধবার সন্ধ্যায় সখীপুর উপজেলা ডাকবাংলো চত্ত্বরে স্থানীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত ভোট ডাকাতি দিবস পালন উপলক্ষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ১২ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসমাবেশে গণজোয়ার ঠেকিয়ে তা বানচাল করতে ঢাকার চার পাশের জেলাগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। এমনকি আগের রাতে বিএনপির শত শত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আবার সমাবেশের খবর সব টেলিভিশনে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এরপরেও বিএনপির সমাবেশে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল, এইরকম গণজোয়ার সৃষ্টি আওয়ামী লীগ কখনো পারবে না। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বোধের পরিচয় দিয়েছেন। জিয়াউর রহমান যদি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয় তাহলে গণতন্ত্র কে হত্যা করেছিল? প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানতে চাই। জিয়াউর রহমানকে খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, তাকে বঙ্গবন্ধুর সমকক্ষ বানানোর চেষ্টা করবেন না। এবিষয়ে বিএনপি নেতাদের নীরবতার সমালোচনাও করেন তিনি। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আবার এ দেশে নির্বাচন আমি তা হতে দেব না। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি না, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসমত আলী , উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জুলফিকার শামীম, কেন্দ্রিয় যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিবুন-নবী-সোহেল প্রমুখ বক্তব্য দেন। উল্লেখ্য ১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে অনুষ্ঠিত উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শওকত মোনেম শাজাহানের কাছে পরাজিত হন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। উক্ত নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ প্রতিবছর ১৫ নভেম্বর ভোট ডাকাতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।





আরো খবর