জাতীয় / মায়ানমার সীমান্তের কাছে বিস্ফোরণে ভারতের দুই সেনা নিহত
সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:৩৯:১১ পূর্বাহ্ন
মায়ানমার সীমান্তের কাছে বিস্ফোরণে ভারতের দুই সেনা নিহত
ইম্ফল: মায়ানমার সীমান্তের কাছে মনিপুরের চান্দেল জেলায় আইইডি বিস্বফোরণে আসাম রাইফেলসের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে বিস্ফোরণের পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর পিছনে নাগা জঙ্গি গোষ্ঠী এনএসসিএন (খাপলাং) জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই এ খবর জানিয়েছে।
জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মতোই এদিন মায়ানমার লাগোয়া মনিপুরের চান্দেল জেলায় টহল দিচ্ছিল আসাম রাইফেলস। সেই সময় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়।
ভারতীয় বাহিনীর দাবি, নাগা জঙ্গিরা প্রায়ই মায়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে চান্দেল জেলায় হামলা চালায়। এ ঘটনায় চান্দেল ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি আছে। মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ রুখতে সক্রিয় থাকে আসাম রাইফেলস।
২০১৫ সালের ৪ জুন এই চান্দেল জেলায় সেনা বহরে হামলা চালিয়েছিল উত্তর পূর্ব ভারতের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের যৌথ সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব ওয়েস্টার্ন সাউথ ইস্ট এশিয়া (ইউএনএলএফডব্লিউ)। এতে ১৮ জওয়ানের মৃত্যু হয়। নাগা জঙ্গি এনএসসিএন খাপলাং ও অাসামের জঙ্গি সংগঠন আলফা (স্বাধীনতা) এই হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী। সেই হামলার পরই মায়ানমারে প্রবেশ করে ভারতীয় কমান্ডোরা। গুঁড়িয়ে দেয়া হয় নাগা জঙ্গি ক্যাম্প।
আসামে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ, পদক্ষেপ নেয়ার দাবি কংগ্রেসের
ভারতের বিজেপিশাসিত আসামে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কর্মীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। দলটির পক্ষ থেকে বৈধ লাইসেন্স ছাড়া অস্ত্র ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান হয়েছে।
আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রধান রিপুন বোরা গণমাধ্যমকে বলেছেন, দু’টি ডানপন্থি সংগঠন তাদের সাংগঠনিক কাজের অংশ হিসেবে নিজ সদস্যদের হোজাইয়ের গীতা আশ্রমে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নারী শাখা ‘দুর্গা বাহিনী’র কর্মীরাও নলবাড়িতে একইভাবে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
কংগ্রেস নেতা রিপুন বোরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এক স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাতে লাইসেন্স ছাড়া অস্ত্র ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি অস্ত্র প্রশিক্ষণের এক ভিডিও চিত্রও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়ে রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।
এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ফুটেজ সূত্রে প্রকাশ, অাসামের হোজাইতে একটানা ১০ দিন ধরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দুর্গা বাহিনীর অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কয়েকদিন আগে আসামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দুর্গা বাহিনীর অস্ত্র প্রশিক্ষণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি দুর্গা বাহিনীর বন্দুক প্রশিক্ষণকে মারাত্মক প্রবণতা বলে মন্তব্য করেন।
পশ্চিমবঙ্গের সিপিআইএম নেতা সুজন চট্টপাধ্যায় বলেন, ‘ভারতে যেভাবে আরএসএসের পরিকল্পনায় বিভিন্ন বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি চলছে তা খুবই বিপজ্জনক। কোথাও বিজেপি-আরএসএসের নামে লাঠি খেলা ও তার প্রশিক্ষণ শিবির, কোথাও দুর্গা বাহিনীর নামে অস্ত্র প্রশিক্ষণ চলছে। আমরা পশ্চিমবাংলাতেও দেখেছি গত কয়েকদিন আগে (রাম নবমীতে) স্কুল ছাত্রীদের কীভাবে তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দেয়া হয়েছে।’
গত এপ্রিলে রাম নবমীতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে তলোয়ার হাতে নিয়ে মিছিল করে শক্তি জাহির করা হয়।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক নেতা অবশ্য কোনো সমালোচনাতেই কান দিতে রাজি নন। পশ্চিমবঙ্গেও প্রয়োজনে দুর্গা বাহিনী বন্দুক হাতে তুলে নেবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, এখনো আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবিনি তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী আগামীতে ওদেরকে আমরা বন্দুক প্রশিক্ষণ দেবো