শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৬:৩৯ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


রোববার, ২২ অক্টোবর ২০১৭ ০৬:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

দুই প্রতিষ্ঠানকে ‘কনডেনসেট’ বরাদ্দ দেয়া নিয়ে প্রতিমন্ত্রী-সংসদীয় কমিটির মধ্যে তর্ক ও উত্তেজনা

ঢাকা : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলামের মধ্যে তর্ক হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কনডেনসেট (গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাসের উপজাত হিসেবে পাওয়া তরল জ্বালানি) বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে আজ এ তর্ক হয় বলে জানা গেছে। আজ রোববার সংসদ ভবনে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে জানানো হয় বর্তমানে দৈনিক ১২ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার ব্যারেল কনডেনসেট উৎপাদিত হয়। সরকারি খাতের সাতটি প্ল্যান্টে প্রতিদিন ছয় হাজার ব্যারেল কনডেনসেট বরাদ্দ করা হয়। উদ্বৃত্ত ছয় থেকে সাড়ে হাজার ব্যারেল কনডেনসেট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বরাদ্দ করা হয়। বেসরকারি ফ্র্যাকশনেশন প্ল্যান্টগুলোর মধ্যে সুপার পেট্রোকেমিক্যাল প্রাইভেট লিমিটেডের কাছে দৈনিক ২ হাজার ৭০০ ব্যারেল এবং প্যাট্রোম্যাক্স রিফাইনারি লিমিটেডকে দেওয়া হয় ১ হাজার ৮০০ ব্যারেল। এই দুটি প্রতিষ্ঠান অকটেন উৎপাদন করে। এর বাইরে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে বাকি কনডেনসেট বরাদ্দ দেওয়া হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, কনডেনসেট বরাদ্দের এই অসামঞ্জস্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে সংসদীয় কমিটি। তা নিয়ে বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই অসামঞ্জস্য কেন, এর জবাবে প্রতিমন্ত্রী বৈঠকে জানান, ওই দুটি প্রতিষ্ঠান অকটেন উৎপাদন করে। তাই তাদের বেশি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এটা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত। তখন কমিটি প্রশ্ন তোলে, ওই দুটি প্রতিষ্ঠান আসলে কত অকটেন উৎপাদন করে। কমিটি সব প্রতিষ্ঠানকে সমানভাবে কনডেনসেট সরবরাহের সুপারিশ করে। এ নিয়ে বাদানুবাদের একপর্যায়ে নসরুল হামিদ বলেন, সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা সুপারিশ করার। তারা সুপারিশ করতে পারে। তা মানা না মানা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে নসরুল হামিদকে পাওয়া যায়নি। আর কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, কনডেনসেটের বণ্টনে অসামঞ্জস্য আছে। কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময় সংসদীয় কমিটির কাছে অভিযোগ দিয়েছে। কোনো পক্ষ সুবিচার চাইলে তা খতিয়ে দেখার অধিকার সংসদীয় কমিটির আছে। একটি সংসদীয় উপকমিটি এ বিষয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানান।





আরো খবর