শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০২:৪৯ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট ২০১৮ ১২:১৪:৪৮ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ঈদযাত্রায় দুর্ভোগের শঙ্কা

অসংখ্য ছোট বড় গর্ত ও খানাখন্দে ভরা কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশ। গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়ক দিয়ে যানবাহনের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। মাঝে-মধ্যে বিশেষ করে ঈদের আগে সড়ক ও জনপদ বিভাগ ভাঙা রাস্তা জোড়াতালি দিয়ে যানবাহনের চলাচল টিকিয়ে রাখে। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। জানা যায়, প্রতিদিন কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রামের যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। এছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে এ সড়ক দিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে ঢাকামুখী বাস চলাচল করে। এ সড়কের একাধিক চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা ও সিলেট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড় মোড় আসতে যে কষ্ট হয়, তার চেয়ে বিশ্বরোড় থেকে শহরের কাউতলী মোড় ঢুকতে অনেক বেশি কষ্ট পোহাতে হয়। ১০ কিলোমিটার রাস্তা আসতে সময় লাগার কথা ২০ মিনিট। কিন্তু বড় বড় গর্ত ও অসংখ্য ভাঙার কারণে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে সড়কের বেহাল দশা। ছবি: বাংলানিউজ সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কের নন্দনপুর বাজার, সুহিলপুর বাজার, ঘাটুরা মোড়, পীরবাড়ি বাসস্ট্যান্ড, ফুলবাড়িয়া ও পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দে সৃষ্টি হয়েছে। তাই যানবাহন চালকদের ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে হয়। কথা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদরে বাসিন্দা মোহন দেবনাথের সঙ্গে তিনি বাংলানিউজকে জানান, ‘এ রাস্তা দিয়ে গেলে জান শেষ হয়ে যায়। প্রায় ব্যবসার কাজে ঢাকা যেতে হয়। কিন্তু ভাঙা সড়কের জন্য অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’ দিগন্ত পরিবহনের চালক জুয়েল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘সামনে ঈদ আসছে, যাত্রী চলাচল দ্বিগুণ হারে বেড়ে যাবে। কিন্তু রাস্তা ভাঙার কারণে যাত্রীরা গাড়িতে উঠতে চায় না। প্রায় সময় গাড়ির এক্সেলের সমস্যা হয়। গাড়ি বিকল হয়ে যায়। এতে আমাদের খরচও বেড়ে যায়।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাপসী আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা যারা এ রাস্তা দিয়ে দূর থেকে কলেজে আসা-যাওয়া করে লেখাপড়া করি, আমাদের অনেক বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রায়ই নির্ধারিত সময়ে ক্লাসে পৌঁছাতে পারি না। দ্রুত আমাদের এ রাস্তা সংস্কার করে দেওয়ার জন্য সরকারে কাছে দাবি জানাচ্ছি।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রাফিক পরিদর্শক আহমদ নূর বাংলানিউজকে জানান, ‘ঈদে ঘরমুখো মানুষদের যাতায়াতের জন্য ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি যাত্রীদের যানজটের কোনো দুর্ভোগে পড়তে হবে না।’ সড়ক সংস্কারের বিষয় নিয়ে কথা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু এহতেশাম রাশেদের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ৭৩ কিলোমিটার অংশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪৩ কিলোমিটার অংশে ৭০ কোটির টাকা ব্যয়ে কাজ চলছে। আগামী চার মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। ঈদকে সামনে যেসব অংশে ভাঙা রয়েছে তা মেরামত করা হচ্ছে।’





আরো খবর