বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৯:১৬ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ ২০১৮ ১০:৩৯:০৯ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

বিমানের ল্যান্ড করা নিয়ে কি বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল?

নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনার খবরটি সারা বিশ্বেই প্রধান খবর হিসাবে গুরুত্ব পেয়েছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যেই নেপালের সব গণমাধ্যমেও এই খবরটিই প্রাধান্য পেয়েছে। তবে সেই সঙ্গে আরো একটি খবর শিরোনাম হয়ে এসেছে, ল্যান্ড করা নিয়ে কি ককপিট আর এয়ার কন্ট্রোলের মধ্যে কোন বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল?
দি হিমালয়ান প্রতিবেদন করেছে, ইউএস বাংলা বিএস-২১১ ক্রাশে ৪৯জন নিহত। সেখানে ওই ঘটনার ছবি ও বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ২২জনকে নেপালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
একান্তিপুরে গতকাল প্রধান খবর থাকলেও,আজকের দ্বিতীয় শিরোনাম, বিমান ভূপাতিত হয়ে অন্তত ৪৯জনের মৃত্যু, ভয়াবহতা থেকে ২২জনের রক্ষা। তাদের আরেকটি খবর, দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আসছে।

সেখানে তারা একটি গ্রাফিক্সও যুক্ত করেছে, যাতে বিমানটির দুর্ঘটনার স্থান চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে।
ওই দুর্ঘটনার একটি অডিও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে বিশেষ খবর প্রকাশ করেছে নেপাল টাইমস।
বিমানটি অবতরণ করা নিয়ে শেষ কয়েক মিনিটে ককপিটের সঙ্গে এয়ার কন্ট্রোল টাওয়ারের (এটিসি) সঙ্গে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়।।
শেষ চার মিনিটের কথোপকথন
ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সিইও আসিফ ইমরান বলেন, দুর্ঘটনার আগে বিমানের ক্যাপ্টেন ও কাঠমান্ডু এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বা এটিসি-র মধ্যেকার কথোপকথন তারা পেয়েছেন এবং সেটি ইউটিউবেও পাওয়া যাচ্ছে।
ওই কথোপকথনের বিবরণ তুলে দিয়েছে নেপাল টাইমস। সেখানে বলা হয়, এটিসি থেকে পাইলটকে বলা হচ্ছে, আমি আবার বলছি, রানওয়ে ২০দিকে এগোবেন না।
পাইলট বলেন, তিনি অপেক্ষা করছেন।

এরপর তিনি সেটিকে অবতরণ না করে অপেক্ষা করতে বলেন। কারণ আরেকটি বিমান ওই রানওয়ের দিকে এগিয়ে আসছে।
বিমানটি ডানদিকে ঘুরে গেলে এটিসি থেকে জানতে চাওয়া হয়, পাইলট কি রানওয়ে জিরো টুতে (উত্তর প্রান্ত) ল্যান্ড করবেন নাকি রানওয়ে টু জিরোতে (দক্ষিণ প্রান্ত)। ইউএস বাংলার পাইলট জানান, তারা রানওয়ে টু জিরোতে (২০) ল্যান্ড করবেন।
তখন তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কি রানওয়ে দেখতে পাচ্ছেন? তিনি জবাব দেন, নেগেটিভ, অর্থাৎ না। কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে তাকে ডানদিকে ঘুরতে বলা হয়। এরপরই পাইলট জানান, তিনি রানওয়ে দেখতে পাচ্ছেন।
এরপর পাইলট বলেন, রানওয়ে জিরো টু-তে অবতরণ করার জন্য প্রস্তুত। এটিসিও তাকে বলে জিরো টুতে নামার অনুমতি দেয়। (যদিও একটু আগেই টু জিরোতে নামার বিষয়ে পাইলটের সঙ্গে কন্ট্রোল টাওয়ারের কথা হয়েছে।)
এ সময় প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে একটি সামরিক বিমানকে অপেক্ষায় রাখা হয়েছিল। কন্ট্রোল টাওয়ার জানিয়ে দেয়, বাংলাদেশের বিমানটিকে টু-জিরোতে নামার চূড়ান্ত অনুমতি দেয়া হয়েছে (একটু আগেই কথা হয়েছে জিরো টুর বিষয়ে)।
এরপর ইউএস বাংলার পাইলট জানতে চান, স্যার, আমরা কি অবতরণের অনুমতি পেয়েছি? কিছুক্ষণ নীরবতার পরই কন্ট্রোলের চিৎকার শোনা যায়, আমি আবার বলছি, ঘুরে যান। এরপরই ফায়ার ওয়ানকে ডাকা হয়, যার মানে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপর নেপালি একজন পাইলটের প্রশ্নের জবাবে রানওয়ে বন্ধ বলে জানানো হয়।
একই বিষয়ে খবর প্রকাশ করেছে অন্নপূর্ণা পোস্ট। তাদের শিরোনাম খবর , বিমানবন্দরের বিমান নিয়ন্ত্রণের গোপন অডিও বার্তা। সেখানেও ওই অডিও যোগাযোগের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।






আরো খবর