শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান, ১৪৪৫ | ১২:২১ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৭:৩২:৪৯ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

ঢাবিতে ফাও খাওয়া নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার কাণ্ড

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হল ক্যান্টিনে ফাও খেতে বাধা দেয়ায় ছাত্রলীগ নেতার মারধরে ক্যান্টিনের ব্যবস্থাপকসহ দুইজন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন- ক্যান্টিন ব্যবস্থাপক শফিক ও কর্মচারী মনির। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় হলের সহকারী আবাসিক শিক্ষক ড. জাহিদ উল আরেফিন চৌধুরীরকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। অভিযুক্ত ওয়াসিফ হাসান পিয়াস সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেলের অনুসারী। হলের প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, খাওয়ার আগে ক্যান্টিনে টাকা দিয়ে টোকেন সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতা পিয়াস টোকেন না নিয়ে কর্মচারী মনিরকে খাবার দিতে বলেন। কর্মচারী টোকেন ছাড়া খাবার দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ছাত্রলীগ নেতা পিয়াস মনিরকে এলোপাড়ারি মারতে থাকেন। পরে খাবার খেয়ে চলে যাবার সময় ক্যান্টিন ব্যবস্থাপক শফিক তাঁকে বলেন, একটা ছেলেকে না মেরে আমাকে বললেই খাবার দিয়ে দিতাম। এই কথা বলার সাথে সাথেই শফিককেও মারধর শুরু করে পিয়াস। এ সময় পিয়াস টেবিলের ওপর উঠে ক্যাশ বাক্স লাথি দিয়ে নিচে ফেলে দেন। প্রহারে ক্যান্টিন ব্যবস্থাপক রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকেন। পরে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যান্টিন কর্মচারী মনির বলেন, আমি শুধু বলেছি টোকেন ছাড়া খাওয়া দিতে নিষেধ করা হয়েছে। সাথে সাথে আমার পেটে এসে লাথি দেয়। মারতে থাকে। এসএম হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল বলেন, আমরা ছাত্রলীগ থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিব। এস এম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।





আরো খবর