শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৭ ০৫:৩৭:২২ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

৭ খুন মামলার পিপির মেয়েকে হত্যাচেষ্টার আসামি সনাক্ত, অপেক্ষা ফরেনসিক রিপোর্টের

নারায়নগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলা পরিচালনাকারী জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকনের মেয়ে মাইশা ওয়াজেদ প্রাপ্তিকে (১৯) হত্যার চেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার তিন মাস অতিক্রম হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় পরিবারের সবার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন খোকন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবির একটি সূত্র থেকে জানা গেছে ইতোমধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের সনাক্ত করতে প্রায় সক্ষম হয়েছেন তারা। যদিও মামলার কার্যক্রমে একেবারেই ধীরগতি রয়েছে। সূত্রটি জানায়, সেদিন যে চারজন হত্যাচেষ্টা করতে এসেছিলেন তাদের মধ্যে দুজনকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়েছে। এই দুজন নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে ও সোনারগাঁয়ে অবস্থান করা আরো দুজন ব্যক্তির সাথে হত্যাচেষ্টা করতে আসার আগে ও পরে যোগাযোগ রক্ষা করছিল। যখন মিষ্টির সাথে বিষযুক্ত কিছু খাইয়ে দেয়া হয় প্রাপ্তিকে, তারপর প্রাপ্তি চলে গেলে এরা গাড়িতে চড়ে ডিআইটি এলাকামুখী হবার সময়ও কাঁচপুর ও সোনারগাঁয়ে দুজন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করছিল। চারজনের অপহরণের সাথে কাঁচপুর ও সোনারগাঁয়ে দুজন ব্যক্তির যোগসাজশ রয়েছে বলে ধারণা করছে ডিবি। এসব ব্যক্তিদের গতিবিধি ও তাদের সকল যোগাযোগের উপরও নজর রাখছে ডিবি। প্রাপ্তির বাবা ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, আমি নিজে থেকেই যোগাযোগ করি ওসির সাথে, মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাই। সর্বশেষ মাসখানেক আগে আমার বাসায় এসেছিলেন ডিবির কর্মকর্তারা। আমাকে ডিবির ওসি মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে আমরা ল্যাব থেকে ফরেনসিক রিপোর্টটি আসলেই কাজে নেমে পড়বো। তিনি জানান, আমি নিজে আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত। এ ঘটনায় দ্রুত আসামিরা গ্রেফতার হবে বলেই আমি প্রত্যাশা করছি, এতে অপরাধীরাও পিছু হটবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত চলছে। ফরেনসিক রিপোর্ট আসলে আরো অনেক কিছু নিশ্চিত হওয়া যাবে। আসামিদের সনাক্ত করতে কাজ চলছে। এর আগে বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় প্রাপ্তি নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের পশ্চিম পাশে হাজী মঞ্জিলে তৌহিদুল ইসলামের কোচিং সেন্টার হতে বের হওয়ার পর পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা টাই স্যুট পরিহিত ৫০ থেকে ৫৫ বছরে একজন ব্যক্তি নিজেকে পিপি ওয়াজেদ আলী খোকনের বন্ধু পরিচয় দেয়। পরে সাত খুনের ঘটনার বিষয়ে প্রাপ্তিকে তার বাবা ভাল কাজ করেছে এই কথা বলে মিষ্টি জাতীয় খাবার (সাথে বিশ মেশানো ছিল) জোরপূর্বক খাওয়ানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে জোরপূর্বক কিছুটা খাওয়ানোর পর প্রাপ্তি দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে রাস্তায় থাকা প্রাইভেটকারে উঠে পালিয়ে যায় বিষ খাওয়াতে আসা ৪ জন। প্রাপ্তিকে প্রথমে শহরের খানপুরে ৩শ শয্যা হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে রাতে বাসায় আনা হয় তাকে। ঘটনার একদিন পর বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় প্রাপ্তির মা সেলিনা ওয়াজেদ মিনু বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ৪জনকে আসামি করে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।





আরো খবর