শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৮:২৩ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:৪৪:০১ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

মৌলভীবাজারের ৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধে রায় যেকোনো দিন

ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার রায় যেকোনো দিন ঘোষণা করা হবে। এ মামলার পাঁচ আসামি হলেন—শামছুল হোসেন তরফদার ওরফে আশরাফ, মোবারক মিয়া, নেছার আলী, ইউনুছ আহমেদ এবং ওজায়ের আহমেদ চৌধুরী। তাদের মধ্যে ইউনুছ আহমেদ ও ওজায়ের চৌধুরী কারাগারে এবং বাকি তিনজন পলাতক। সোমবার প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। এ সময় দুই আসামি ইউনুছ ও ওজায়ের ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। এদিন প্রসিকিউশন পক্ষে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ শিমন, তাপস কান্তিবল ও রেজিয়া সুলতানা চমন। তারা মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি (ফাঁসি) প্রার্থনা করেন। অপরদিকে আসামি ইউনুস ও ওজায়েরের পক্ষে ছিলেন আবদুস সোবহান তরফদার এবং পলাতক তিন আসামির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজনগরের ওই পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পাঁচ ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৮ জনকে হত্যা-গণহত্যা, ১১ জনকে অপহরণ, আটক ও নির্যাতন এবং ২২টি বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ। প্রসিকিউটর তাপস জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রসিকিউশন সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণ করতে পেরেছে। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর পর গত বছর ২৬ মে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। একই বছর ৮ ডিসেম্বর এই ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হয়। প্রসিকিউশন পক্ষে ১৩ জন সাক্ষী-জবানবন্দি দেন। আসামিদের পক্ষে কোনও সাফাই সাক্ষী ছিল না। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে ওই দিনই রাজনগর উপজেলার গয়াসপুর গ্রামের ওজায়ের আহমেদ চৌধুরীকে মৌলভীবাজার শহরের চৌমোহনা থেকে ও সোনাটিকি গ্রামের মৌলভি ইউনুছ আহমদকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিদের মধ্যে সামছুল হোসেন তরফদার একাত্তরে আল-বদর বাহিনীর এবং নেছার আলী রাজাকার বাহিনীর স্থানীয় কমান্ডার ছিলেন। বাকি তিনজন রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসেবে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত ছিলেন।





আরো খবর