বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৪:০৩ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৫৫:১১ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

বীমার টাকা হাতাতে মৃত্যুর গুজব, শুনে স্ত্রী-সন্তানের আত্মহত্যা

ইন্স্যুরেন্স জালিয়াতির জন্য স্বামী গাড়ি দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়ে রটিয়ে দিয়েছিল নিজের মৃত্যুর খবর। কিন্তু সেই খবর বিশ্বাস করে দুই সন্তান-সহ আত্মহত্যা করেন স্ত্রী। এই ট্রাজেডির পর পুলিশ এখন গ্রেফতার করেছে স্বামীকে। তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে পুলিশ। এই ঘটনাটি চীনের হুনান প্রদেশের শিনহুয়া কাউন্টিতে। সেখানে ৩৪ বছর বয়সী এক লোকের গাড়ি খুঁজে পাওয়া যায় নদীতে। ধারণা করা হচ্ছিল লোকটি দুর্ঘটনায় মারা গেছে। কিন্তু তার লাশ কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশ এই লোকটির নাম ‘হে’ বলে উল্লেখ করছে। এভাবে সাজানো গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর এই পরিকল্পনা সম্পর্কে লোকটি তার স্ত্রীকে আগে থেকে কিছুই জানায়নি। ফলে স্বামীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শোকে-দুঃখে স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এর আগে তিনি অনলাইনে একটি ‘সুইসাইড নোট’ লিখে যান। এই ট্রাজিক ঘটনার পর স্বামী নিজেই গিয়ে ধরা দেন হুনান প্রদেশের পুলিশের হাতে। তার বিরুদ্ধে ইন্স্যুরেন্স প্রতারণা এবং ইচ্ছেকৃতভাবে সম্পদের ক্ষতি করার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, গত সেপ্টেম্বরে হে নিজের জন্য এক মিলিয়ন ইউয়ানের একটি জীবন বীমা করেন। এটি আবার তিনি নিজের স্ত্রীর কাছে গোপন রেখেছিলেন, যদিও এই বীমার বেনিফিশিয়ারি ছিলেন তার স্ত্রী। গত ১৯ সেপ্টেম্বর হে একটি ধার করা গাড়িতে চেপে দুর্ঘটনার নাটক সাজান। এই দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু ঘটেছে এমন একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেন। মিস্টার হে খুব বেশি ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তার নামে এক লাখ ইউয়ানের ঋণ ছিল। গত ১১ অক্টোবর মিস্টার হে'র ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী তার ৪ এবং ৩ বছর বয়সী দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যা করেন। সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছিলেন, তিনি স্বামীর সঙ্গী হতে যাচ্ছেন। তার ইচ্ছে তারা চারজন আবার যেন এক সঙ্গে মিলতে পারেন। স্ত্রী-সন্তানদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর মুষড়ে পড়েন হে, পরদিনই তিনি ধরা দেন পুলিশের হাতে। এর আগে তিনি অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। এই ভিডিওতে তাকে কাঁদতে কাঁদতে বলতে দেখা যায়, তিনি তার তিন বছর বয়সী মেয়ের চিকিৎসার জন্য ঋণ করেছিলেন। তার মেয়ে এপিলেপসি রোগে ভুগছিল। এই ভিডিওটি এখন অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনা নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। চীনে মানুষ কি পরিমাণ আর্থিক এবং পারিবারিক চাপের মধ্যে আছে, সেটা নিয়ে কথা বলছেন অনেকে। চীনের মাইক্রো-ব্লগিং সাইটে এই ঘটনা সম্পর্কিত হ্যাশট্যাগটি প্রায় তিন কোটি বার দেখা হয়েছে।





আরো খবর