বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান, ১৪৪৫ | ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ০২:২৩:৫৭ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

দুর্নীতি: পাকিস্তানের সাবেক চার শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার মামলা চালু হচ্ছে আবার

সেনাবাহিনীর সাবেক চারজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০০ কোটি রুপি দুর্নীতির মামলা নতুন করে শুরু করছে পাকিস্তানের ন্যাশনাল একাউন্টেবলিটি ব্যুরো (এনএবি)। ১৭ বছর এ মামলা স্থগিত ছিল। মঙ্গলবার তা চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই চার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার মধ্যে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক একজন প্রধানও রয়েছেন। এতদিন পাকিস্তানের জাতীয় জবাবদিহিতা বিষয়ক ওই সংস্থা এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনীহা প্রকাশ করেছে। এ খবর দিয়েছে সেখানকার অনলাইন ডন। এতে বলা হয়েছে, ২০০১ সালে সাবেক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের সময়ে মালয়েশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানকে লাহোর রেলওয়ের খুবই গুরুত্বপূর্ণ জমির কয়েক হাজার একর হস্তান্তর করেছিলেন ওই সেনা কর্মকর্তারা। ওই জমিতে মালয়েশিয়ার ওই প্রতিষ্ঠানটি রয়েল পাম গোল্ড অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। তবে এক্ষেত্রে ন্যায্যমূল্যের চেয়ে অনেক কম দাম ধরা হয় ওই জমির। গত সপ্তাহে বিষয়টিতে নজর দেয় ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। তারা পর্যবেক্ষণে বলে, সেনাবাহিনীর জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার আড়ালে অবসরপ্রাপ্ত এসব সেনা কর্মকর্তা নিজেদের লুকিয়ে রাখতে পারেন না। এনএবির এক মুখপাত্র বলেছেন, এ নিয়ে একটি মিটিং হয়েছে। তাতে সাবেক রেলওয়ে বিষয়ক মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) জাভেদ আশরাফ কাজী, রেলওয়ের সাবেক চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাঈদ উজজাফর, সাবেক জেনারেল ম্যানেজার মেজর জেনারেল হামিদ হাসান ভাট, রেলওয়ের সাবেক সদস্য ব্রিগেডিয়ার আখতার আলী বেগ, সাবেক জেনারেল ম্যানেজার ইকবাল সামাদ খান, সাবেক সদস্য খুরশিদ আহমেদ খান, সাবেক পরিচালক আবদুল গাফফার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ রমজান শেখ, পরিচালক হুসনাইন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি, পারভেজ লতিফ কুরেঞি, ইউনিকন কনসালটিং সার্ভিসেসের প্রধান নির্বাহী, মোহাম্মদ বিন কাসা বিন আড্ডা আজিজ, ম্যাক্স করপোরেশন, ডেভেলপমেন্ট মালয়েশিয়ার পরিচালক ও অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল অথরাইজ করা হয়েছে। এতে ২০০ কোটি রুপিরও বেশি জাতীয় অর্থ ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই সময় আইএসআইয়ের মহাপরিচালক ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাজী। অন্যদিকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাঈদ উজজাফর ছিলেন পেশোয়ারের কোর কমান্ডার। এ মামলায় ২০১২ সালে ওইসব সেনা কর্মকর্তাদের তলব করেছিল এনএবি। উদ্দেশ্য ছিল তাদের বক্তব্য রেকর্ড করা। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় নি। ওদিকে ২০১২ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বরের এক বৈঠকে জাতীয় পরিষদের পাবলিক একাউন্টস কমিটি বিতর্কিত ওই জমি বিষয়ক চুক্তি বাতিলের আহ্বান জানায়। পরিবর্তে ওই জমির নতুন করে দরপত্র আহ্বান করতে সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে সাবেক তিনজন জেনারেল সহ রেলওয়ের সাবেক কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শৃংখলা ভঙ্গের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। লাহোরের ওই জমি বরাদ্দ দেয়ার বিষয়ে জাতীয় পরিষদের রেলওয়ে বিষয়ক স্পেশাল কমিটি একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করে। তাতে আর্থিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে। পাশাপাশি তাতেও রেলওয়ের নির্বাহী কমিটির অভিযুক্ত সব সদস্যের বিরুদ্ধে বিচার সুপারিশ করা হয়। এ নির্দেশনা অনুযায়ী, আলাদা তদন্ত শুরু করে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। তারা রিপোর্টে বলে যে, ১৪১ একর জমি সাধারণ দামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতে জাতীয় অর্থনীতির ৪৮২ কোটি রুপির ক্ষতি হয়েছে। কারণ, ওই জমির ব্যবহার চার্ড ৫২.৪৩ রুপি থেকে কমিয়ে গজপ্রতি মাত্র ৪ রুপি ধরা হয়েছে।





আরো খবর