বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৯:২৯ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ১২:৫৯:১৩ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

রোহিঙ্গাদের দেখতে মঙ্গলবার ঢাকা আসছেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আগামী সপ্তাহে দুই দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় আসছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম। সফরে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী। শনিবার তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেন্টার থেকে এই এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯ থেকে ২০ ডিসেম্বর তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সফরে প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বাংলাদেশের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের একাধিক বৈঠকে অংশ নিবেন বলে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, তার সফরে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে যে সম্পর্ক রয়েছে তা ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও, আঞ্চলিক বিষয়, বিশেষত রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে মত বিনিময় করা হবে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় তার সরকারি বৈঠকের পর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যাবেন তিনি। গত ২৫ আগস্ট মায়ানমারের সামরিক বাহিনী ও বৌদ্ধ জঙ্গিদের পৈশাচিক নির্যাতন আর গণহত্যার মুখে প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে ইলদিরিম যেখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। একই সঙ্গে তিনি কক্সবাজারের নিয়োজিত মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে অংশ নেয়া আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থার পাশাপাশি তুর্কি সহযোগিতা ও সমন্বয় সংস্থা (টিআইকেএ), তুর্কি দুর্যোগ এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) এবং তুর্কি রেলিজিয়াস অধিদপ্তরের কার্যক্রম ঘুরে দেখবেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে বেশ কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর ১১ সদস্য নিহত হয়। এরপর সন্ত্রাস দমনের নামে রাখাইনে অভিযান শুরু করে মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। প্রাণ বাঁচাতে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, রাখাইনে ১০০ কিলোমিটার এলাকা আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। ৯২ শতাংশ রোহিঙ্গাই বলেছে, সেনা অভিযানের সময় তারা চরম নিপীড়নের শিকার হয়েছে অথবা অন্যকে নিপীড়িত হতে দেখেছে। হত্যা, ধর্ষণ আর অগ্নিসংযোগ ছাড়াও রাখাইনের রোহিঙ্গা গ্রামগুলোয় অভিযানের সময় ডাকাতি ও লুটতরাজের ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার আর ধরপাকড় তো নিয়মিত ঘটনা ছিল। কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই পুলিশ আর সেনারা যাকে খুশি তাকে ধরে নিয়ে যেত। এভাবে নিখোঁজ হওয়া অনেকেই এখনো পরিবারের কাছে ফিরে আসেনি বলে জানায় রোহিঙ্গারা। এসব ছাড়াও কারফিউ এবং চলাচলে কঠোর নিয়ন্ত্রণ তো ছিলই।





আরো খবর