বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান, ১৪৪৫ | ১১:৫১ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৫:২৩:২০ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মনমোহনের গোপন বৈঠকের অভিযোগ মোদির

বিজেপিকে হারিয়ে আহমেদ পটেলকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী করতে কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের বাড়িতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও সাবেক উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ও প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী খুরশিদ কাসোরির সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার এক নির্বাচনী সভায় নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন। পাকিস্তান আর্মির প্রাক্তন একজন গোয়েন্দা সদস্য আহমেদ পটেলকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চান বলেও উল্লেখ করেন মোদি। কংগ্রেসের কাঁধে বন্দুক রেখে গুজরাটে ভোট মেরুকরণে প্রায় রোজই নতুন-নতুন মাত্রা যোগ করছেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে সাম্প্রতিকতম সংযোজন, পাক ছক। বিজেপিকে হারিয়ে আহমেদ পটেলকে মুখ্যমন্ত্রী করতে নাকি হস্তক্ষেপ করছে পাকিস্তান! এর সঙ্গেই রাহুল গাঁন্ধীকে নিশানা করে মোদি খেলেছেন ‘গুজরাট অস্মিতা’র তাসও। আহমেদ পটেল বলছেন, ‘‘ভোট টানতে উন্নয়ন ছেড়ে গুজব আর মিথ্যা প্রচার করছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’’ আর রাহুল গাঁন্ধীর মন্তব্য, ‘‘ওজন কমে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী পদের। ভালবাসা দিয়েই প্রতিপক্ষকে হারাতে বলেছিলেন গাঁন্ধীজি। মোদিকেও আমরা ভালবাসা দিয়ে হারাব।’’ পাকিস্তানের ছক নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগটি আনতে গিয়ে মোদি রোববার ফের অস্ত্র করেন মণিশঙ্কর আইয়ারকে। গুজরাটে ভোটসভায় দাবি করেন, তাঁকে ‘নীচ’ বলার এক রাত আগে মণিশঙ্করের বাড়িতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি ‘গোপন’ বৈঠক করেছেন পাক রাষ্ট্রদূত ও সে দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী খুরশিদ কাসুরির সঙ্গে। পাক সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীতে কাজ করেছেন, এমন ব্যক্তি পটেলকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী করতে চান। সেই লক্ষ্যেই ওই গোপন বৈঠক। এর পরেই মোদির প্রশ্ন, গুজরাট ভোটে কেন পাকিস্তান হস্তক্ষেপ করছে? আর সে রাতের বৈঠকের পর দিনই মণিশঙ্কর কেন তাঁকে ‘নীচ’ বললেন? ‘‘রাহুলকে এর জবাব দিতে হবে,’’ দাবি মোদির। আসরে নামেন অমিত শাহও। প্রশ্ন তোলেন, ‘‘বিদেশ মন্ত্রককে না জানিয়ে এই বৈঠকের কী অর্থ?’’ এখানেই থামেননি বিজেপি সভাপতি। কাল যে সলমন নিজামির কথা তুলে জনতাকে তাতিয়েছেন মোদি, আজ সেই প্রসঙ্গ ফের তোলেন অমিত। রাহুলের ‘সহযোগী’ জিগ্নেশ মেবাণীর সঙ্গে ‘দেশ-বিরোধী’ শক্তির যোগসাজশের অভিযোগ আনেন। কংগ্রেসের কোনও অখ্যাত নেতা ২০০২-এর দাঙ্গার জন্য মোদিকে জামা মসজিদে ক্ষমা চাইতে হবে হলে দাবি তুলেছিলেন— সে প্রসঙ্গ তুলেও মেরুকরণের গোটা দায় সুকৌশলে কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপান অমিত। বলেন, ‘‘গুজরাতে মেরুকরণের স্রষ্টা কংগ্রেসই। ওদের হবু-সভাপতি মন্দিরে-মন্দিরে ঘুরছেন, জাতপাতের রাজনীতি করছেন।’’ আর মোদি বলেন, ‘‘কংগ্রেসে প্রজন্ম বদল হল, সংস্কৃতি পাল্টাল না। সেই পুরনো ছকে বিভাজনের রাজনীতি করছে। বিজেপি লড়ছে উন্নয়ন নিয়ে।’’ অথচ রাহুল কিন্তু প্রতিটি সভায় উন্নয়ন-বিতর্কেই টেনে নিয়ে আসতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রীকে। আজ তিনি বলেন, ‘‘মোদিজি বলছেন, গুজরাটে কংগ্রেসকে ধূলিসাৎ করবেন। তাই যদি হয়, তবে আর আমাকে ও কংগ্রেসকে এত আক্রমণ করা কেন?’’





আরো খবর