বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ৯ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:১২:৫১ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

২০১৯ লোকসভা নির্বাচন: 'নতুন অক্সিজেন' নিয়ে লড়বে কংগ্রেস

অবশেষে ভারতের কংগ্রেসের সভাপতি পদে অভিষেকের দ্বারপ্রান্তে রাহুল গান্ধী। সোমবার ১০ জনপথে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকে বসে ১০ মিনিটের মধ্যে দলের সভাপতি পদে নির্বাচন করেছে। ঠিক হয়েছে, আগামী ১ ডিসেম্বর নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ফলাফল ঘোষণা হবে ১৯ ডিসেম্বর। এর মাঝে থাকবে মনোনয়ন দাখিল, সেটি খতিয়ে দেখা, মনোনয়ন প্রত্যাহার, প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের মতো নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট ধাপগুলো। কিন্তু এগুলি নেহাতই নিয়মতান্ত্রিক আনুষ্ঠানিকতা। সূত্রের খবর, সোমবার দলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা সমবেতভাবে রাহুল গান্ধীর নামই প্রস্তাব করেছেন। কমিটির এক নেতার কথায়, “আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণা বাকি মাত্র। কিন্তু মনোনয়নপত্র দাখিলের পরেই তিনি কার্যত সভাপতি পদে অভিষিক্ত হয়ে যাবেন।’’ কংগ্রেস নেতা জনার্দন দ্বিবেদীর কথায়, ‘‘যদি আর কোনও প্রার্থী সভাপতি পদে না লড়েন, তা হলে নাম প্রত্যাহারের শেষ দিনেই অর্থাৎ ১১ তারিখ নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা হয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত রাহুল ছাড়া অন্য কোনও প্রার্থীর লড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।’’ কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, রাহুল গান্ধী অবশ্য নিজে চান গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জিতে আসতে। নির্বাচন কমিশনের দেয়া সময়সীমা সংক্রান্ত নির্দেশ মেনেই এগোতে চান তিনি। কিন্তু তিনি চাইলেও নেহাতই তার বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থীকে দাঁড় করানো হবে, এমন কোনও পরিকল্পনাও কংগ্রেসের নেই। ১৩ বছর আগে রাহুলকে ভোটের ময়দানে এনেছিলেন মা সনিয়া গান্ধী। অমেঠি থেকে লোকসভার টিকেটে লড়েছিলেন তৎকালীন মুখচোরা রাহুল। এর পর ধাপে ধাপে তার পদোন্নতি ঘটেছে, কিন্তু দলের পূর্ণ কান্ডারির ভূমিকায় তার ভূমিকা এখনও পরীক্ষিত নয়। এর আগে সাংসদ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন রাহুল। তার পর জয়পুর এআইসিসি-তে সহ-সভাপতিও হয়েছেন। কিন্তু সরকারের কোনও মন্ত্রিত্বের পদ যেমন নেননি (তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের অনুরোধ সত্ত্বেও), তেমনই দলের কান্ডারি হননি এখনও। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে সেটাই দলের প্রধান শক্তি। নতুন অক্সিজেন নিয়ে এক ‘নতুন নেতা’র অধীনে ভোটের ময়দানে নামতে পারবে কংগ্রেস। তবে আগামি লোকসভা নির্বাচন নয়, ভাবি কংগ্রেস সভাপতি এখন পাখির চোখ হিসেবে দেখছেন সেমিফাইনাল অর্থাৎ গুজরাত নির্বাচন। সূত্রের খবর, আজ সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ অনুমোদিত হয়ে গেলে নেতারা নিজেদের মধ্যে গুজরাট-কৌশল নিয়ে কথা বলেছেন। রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, রাফাল কাণ্ড থেকে অমিত শাহের পুত্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ—এই বিষয়গুলো নিয়ে সরকারকে বাধ্য করতে হবে সংসদে জবাব দিতে। শীতকালীন অধিবেশনে (যদি তা গুজরাট ভোটের আগে হয়) সরকারকে দুর্নীতির প্রশ্নে কোণঠাসা করতে পারলে তার ফল বিধানসভা ভোটে পড়বে বলেই আত্মবিশ্বাসী রাহুল। সূত্র: আনন্দবাজার।





আরো খবর