বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৯:০৪ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:২৯:২৫ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

গুলেনকে ‘অপহরণের পরিকল্পনা’ অস্বীকার করলো তুরস্ক

আঙ্কারা: যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে ‘অপহরণ করে’ তুরস্কে নিয়ে যাবার এক পরিকল্পনা হয়েছিল বলে খবর বেরুনোর পর তুরস্ক তা অস্বীকার করেছে। গত বছর জুলাই মাসে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বিরুদ্ধে যে অভ্যুত্থান হয়েছিল তার পেছনে ফেতুল্লাহ গুলেনের ভুমিকা ছিল বলে আঙ্কারার অভিযোগ। খবর বিবিসির। প্রেসিডেন্ট এরদোগান একাধিকবার বিচারের জন্য গুলেনকে তুরস্কের হাতে তুলে দেবার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। গুলেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় বসবাস করেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন এরকম একটি পরিকল্পনা নিয়ে তুরস্কের কিছু কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করেছিলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে। পরিকল্পনাটি ছিল, এ বছর মার্চ মাসে গুলেনকে ধরে একটি ব্যক্তিগত বিমানে তুলে দেয়া হবে এবং তাকে তুরস্কের ইমরালি দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হবে যেখানে একটি কারাগার রয়েছে। এর বিনিময়ে ফ্লিনকে এক কোটি ৫০ লাখ ডলার দেবার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, এ কথা প্রকাশ করেছেন সিআইএ’র সাবেক পরিচালক জেমস উলসি। তিনি বলেন, তিনি নিউইয়র্কের একটি হোটেলে এরকম এক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ওয়াশিংটনের তুর্কী দূতাবাস এ খবরকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা, হাস্যকর ও ভিত্তিহীন’ বলে বর্ণনা করেছে। এক বিবৃতিতে দূতাবাস বলেছে, তুরস্ক ফেতুল্লাহ গুলেনকে বিচারের জন্য ফেরত চায় কিন্তু আইনবিরুদ্ধ কোন পথে নয়। ফ্লিনের আইনজীবীও এরকম দাবির কথা জোর দিয়ে অস্বীকার করেছেন। ফ্লিন পরে রাশিয়া-সংশ্লিষ্টতার এক অভিযোগ ওঠার পর পদত্যাগ করেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে এ তথ্য বেরিয়ে আসে। এনবিসি বলছে, ফ্লিন যখন হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন, তখন তিনি ফেতুল্লাহ গুলেনকে তুরস্কে ফিরিয়ে দেবার জন্য চেষ্টা করেছিলেন কিনা তারও তদন্ত করা হচ্ছে। ইসলামকে দুর্বল করতেই পশ্চিমাদের ‘মধ্যপন্থী ইসলামের’ আবিষ্কার: এরদোগান সৌদি আরবের পুনর্গঠনে দেশটির ‘মধ্যপন্থী ইসলামের’ ব্যাখ্যার সমালোচনা করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, মধ্যপন্থী ইসলামের ধারণা পশ্চিমাদের আবিষ্কৃত। প্রাচীন এই ধর্মটিকে দুর্বল করার জন্যই সুকৌশলে শব্দটি ব্যবহৃত হচ্ছে। শুক্রবার দেশটির রাজধানী আঙ্কারায় ইসলামিক কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (ওআইসি) উইমেনস অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের সভায় এরদোগান সৌদির ইসলামের ‘মধ্যপন্থার’ ব্যাখ্যার নিন্দা করেন। গত মাসে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান, দেশটিতে ‘মধ্যপন্থী’ পুনঃস্থাপন করার অঙ্গীকার করেছিলেন। বর্তমানে উপসাগরীয় রাজতন্ত্রের দেশটি ইসলামের সালাফিস্ট বা ওয়াহাবি সংস্করণ অনুসরণ করে এবং ইসলামি শরিয়া আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়; যেটিকে প্রায়ই ‘অতি রক্ষণশীল’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। এরদোগান বলেন, ‘মধ্যপন্থী ইসলামের কথা বলে আবারো মুখে ফেনা তুলা হচ্ছে। মধ্যপন্থী ইসলামের ধরণা পশ্চিমারা অতি সুকৌশলে উদ্ভাবন করেছেন। মধ্যপন্থী বা অসংযমী ইসলাম বলে কোনো কিছু নেই; ইসলাম একটিই। এ ধরনের শব্দ ব্যবহারের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামকে দুর্বল করে দেয়া।’ সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত তিনি (মোহাম্মদ বিন সালমান) মনে করছেন এই ধারণাটি তার নিজের উদ্ভাবন করা। কিন্তু না, এটা আপনার উদ্ভাবন নয়। অনেক বছর আগেই ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মিটিংয়ে আমি মধ্যপন্থী ইসলাম সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম।’ এছাড়াও, সভায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইইউ রাষ্ট্রগুলোতে ধারাবাহিকভাবে বোরকা নিষিদ্ধের সমালোচনা করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এর মাধ্যমে মুসলিম নারীদের প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের দৃষ্টি এখন ভিশন-২০৩০। এই ভিশনের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে সুন্নি ইসলামের ‘ওয়াহাবি ব্র্যান্ড’কে সামাজিকভাবে রূপান্তরিত করা। ওয়াহাবি মত অনুযায়ী, একত্রে নারী-পুরুষের মেলামেশা, কনসার্ট এবং সিনেমা ইত্যাদি নিষিদ্ধ। সৌদি প্রিন্সের এই ভিশন বাস্তবায়ন এবং রাজতন্ত্রকে উদারীকরণের অংশ হিসেবে আগামী বছরের গ্রীষ্মে সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া হবে। একই সঙ্গে নতুন বছরে নারীদের খেলাধুলার ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণেরও অনুমতি দেয়া হবে। গত মাসে জর্ডান এবং মিশর সীমান্ত এলাকায় ৫০০ বিলিয়ন ডলারের ‘শিল্প শহর’ নির্মাণের একটি পরিকল্পনা উন্মোচন সালমান। দেশটির অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনা এবং তেলের ওপর নির্ভরতা হ্রাসের লক্ষ্যে নতুন এই মেগা-শহর তৈরি করা হবে বলে পরিকল্পনায় বলা হয়।





আরো খবর