শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান, ১৪৪৫ | ০১:১৬ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:২৫:১৬ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

আমি এখনো মনোবিদের কাছে যাই

সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘পদ্মাবতী’ ছবি নিয়ে বিতর্কের উত্তপ্ত ঢেউ ভারতের রাজস্থানের সীমানা ছাড়িয়ে দাবানলের মতো সারা দেশে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। বানসালির পাশাপাশি রাজস্থানের রাজনৈতিক সংগঠন করনি সেনার ক্ষোভের মুখে পড়েছেন ‘পদ্মাবতী’ ছবির নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন। এমনকি দীপিকার নাক কেটে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। উত্তর প্রদেশের ক্ষত্রিয় সমাজ এই বলিউড তারকার মাথার দর হেঁকেছে পাঁচ কোটি রুপি। সব মিলিয়ে বেশ চাপের মধ্যে আছেন বলিউডের ‘মস্তানি গার্ল’। সম্প্রতি ‘পদ্মাবতী’ ছবির প্রচারণার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দীপিকা। কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে তাঁর মানসিক অবসাদের কথা জানান দীপিকা। তিনি বলেন, ‘তিন বছর আগে আমি মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছিলাম। সেই থেকে আমি এখনো মনোবিদের কাছে যাই। যদি মনে হয় যে আমার চিকিৎসক বা কাউন্সেলরের কাছে যাওয়া প্রয়োজন, তখন আমি নিশ্চয়ই যাই। এ কথা স্বীকার করতে আমার কোনো লজ্জা নেই, এ ব্যাপারে কারও লজ্জা পাওয়া উচিত নয়। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলতে চাই, আমরা শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে ছুটে যাই। কিন্তু মানসিক সমস্যা হলে মনোবিদ বা কাউন্সেলরের কাছে যেতে কুণ্ঠাবোধ করি। সবাই শারীরিকভাবে সচেতন হয়ে উঠছেন। এখন প্রয়োজন মানসিকভাবে সচেতন হওয়া। মন যদি ভালো না থাকে, আমরা কিছুতেই ভালোভাবে কাজ করতে পারব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে মনোবিদের কাছে যেতে চান না। তাঁদের বলব, নিজের পরিবার বা প্রিয় বন্ধুর কাছে মনের কথা খুলে বলুন। নিজের বিশ্বাসের মানুষকে মানসিক সমস্যার কথা জানান। দেখবেন আপনি ভালো থাকবেন।’ দীপিকা নিজের ফাউন্ডেশন নিয়ে বলেন, ‘আমি তিন বছর আগে মানসিক অবসাদে ভুগছিলাম। সেই জায়গা থেকে ফাউন্ডেশন গড়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিজের মানসিক অবসাদের কথা সবার সামনে তুলে ধরি। নিজের গল্প সবার সঙ্গে শেয়ার করি। এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার পথ দেখাই।’ ‘পিকু’ ছবির এই তারকা বলেন, ‘তিন বছর ধরে গ্রামের বিভিন্ন স্কুলে মানসিক সচেতনতা বাড়ানোর ওপর নানা অনুষ্ঠান করেছি। ছাত্রছাত্রী আর শিক্ষকদের শেখাই—মানসিক অবসাদ কী। এর ফলে আমরা অনেক পরিবর্তন দেখেছি। অনেকেই এখন মনোবিদের কাছে যেতে চায়। চিকিৎসকদের নিয়ে আমরা এর ওপর নানা শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান করেছি। যাঁরা চিকিৎসা দিচ্ছেন, তাঁদেরও এ বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। গত অক্টোবরে আমরা ভারতে প্রথম মানসিক অবসাদের ওপর শিবির করেছি। এবার করপোরেট জগতে কাজ করব। কর্ণাটকের ‘দাওনগিরি’ জেলায় স্থানীয় সংগঠনের সঙ্গে আমরা অনেক কাজ করছি। বিভিন্ন গ্রামে ওষুধ সরবরাহ করি, ডাক্তার পাঠাই। এখনো অনেক কাজ বাকি। তবে যেভাবে আমাদের কাজ হচ্ছে, তাতে আমি খুবই খুশি।’





আরো খবর