কুয়েতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। নিজ দেশ ছেড়ে জীবন-জীবিকার তাগিদে পরবাসে ঠাঁই নেন প্রবাসীরা। দেশের মায়া ত্যাগ করে হাজার মাইল দূরে শ্রম বিক্রি করা এই প্রবাসীরা স্বপ্ন পূরণের আশায় কাজ করেন বছরের পর বছর।
সবারই লক্ষ্য থাকে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হয়ে ফিরে আসবেন দেশে। অথচ শ্রম বিক্রিতে ব্যস্ত প্রবাসীদের কর্মক্ষমতার পাশাপাশি কমতে থাকে আয়ুষ্কাল।
গত ৬ দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৪ বাংলাদেশি কুয়েত প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ৪ বাংলাদেশি হলেন- ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার উত্তর কৈখালী গ্রামের মকবুল মিয়ার ছেলে কালা মিয়া। ২৭ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান তিনি।
অপর একজন হলেন ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার ২ নং আজাদপুর ইউনিয়নের ববানীপুর গ্রামের বাসিন্দা কালাম। বুধবার ৩০ জানুয়ারি রাত ১০টায় খাওয়া দাওয়া শেষে রুমে ফেরার সময় কুয়েতের হাসাবিয়া সবজি গলিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
ঢাকার নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ঘোড়াদি গ্রামের সোনালি মিয়ার ছেলে মাঈন উদ্দিন। সে কুয়েত মারাফিয়া কোম্পানিতে কর্মরত ছিল। ৩১ জানুয়ারি দুপুরে ডিউটি থেকে বাসায় ফিরে বিকালে ঘুমাতে গেলে ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করে মারা যান তিনি।
সিলেট বিয়ানীবাজার চরখাই উপজেলার মান্দার গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে তুহেল আহম্মেদ। ৩১ জানুয়ারি মধ্যরাতে ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করে মারা যান তিনি।
বর্তমানে এদের লাশ কুয়েতের স্থানীয় হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দেশে পাঠানো হবে