বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ১০:৩৪ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ০৮:০৮:২৮ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

স্বাধীন বিচার বিভাগ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ

সাম্প্রতিক বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক হিসেবে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠন ‘ডেমোক্রেটিক পলিসি ফোরাম, বাংলাদেশ’। বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বিচার ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ঘটনার প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। সদ্য সাবেক প্রধাণ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার অপসারণ প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অতি সম্প্রতি যে উপায়ে কারাবন্দী করা হল, তা বিচার বিভাগের স্বাধীণতাকে সন্দেহাতীতভাবে দলিত করার নামান্তর বলে প্রতীয়মান হয়। আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি যে, জিয়াউর রহমান উত্তর যুগে বাংলাদেশের উজ্জ্বলতম গণতান্ত্রিক ব্যাক্তিত্ব বেগম খালেদা জিয়া এবং জিয়া পরিবারের সততার ধারক-বাহক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনীত কথিত ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ দূর্নীতি মামলার কোন অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়া সত্বেও উক্ত মামলার বিচারক মোঃ আখতারুজ্জামান তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করেছেন। ইতোপূর্বে আরেকটি মামলায় জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজানো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজন বিচারক তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়ায় সরকার তাঁকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল। সদ্য সাবেক প্রধাণ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাও অপর একটি মামলার পর্যবেক্ষণে কিছু ঐতিহাসিক সত্য তুলে ধরায় জোরপূর্বক তাঁকে অপসারণ ও দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। তাঁদের এহেন পরিণতি দেখে কথিত ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ দূর্নীতি মামলার বিচারক সরকার পক্ষের রোষাণল থেকে বাঁচতে এ রায় দিয়েছেন বলে সমগ্র দেশবাসীর সাথে আমারাও বিশ্বাস করি। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন থেকে বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে দূরে রেখে পুনরায় অনির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার হীন উদ্দেশ্যে শাসকগোষ্ঠী এভাবে বিচার বিভাগকে কলুষিত করছে বলে অনেকের ধারণা। আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রধাণ তিনটি স্তম্ভের একটি, বিচার বিভাগকে এভাবে ধ্বংস করার সকল প্রয়াসের তীব্র নিন্দা জানাই, এবং অবিলম্বে নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে আলোচ্য মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নির্দোষ ব্যাক্তিবর্গকে নিঃশর্ত মুক্তি প্রদানের আহ্বান জানাই। সাজাপ্রাপ্ত নির্দোষ ব্যাক্তিবর্গের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালত কিংবা জাতিসংঘের অধীনে তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। ডেমোক্রেটিক পলিসি ফোরাম বাংলাদেশ দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের মৌলিক মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিবৃতিদাতারা হলেন,.ড. মোঃ রুহুল আমিন খন্দকার,চেয়ারম্যান ডেমোক্র্যাটিক পলিসি ফোরাম, বাংলাদেশ। সহকারী অধ্যাপক, হেরিয়ট-ওয়াট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্য,ও পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্চ ফেলো, ইউ,সি,এল, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন এবং প্রাক্তন শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ডঃ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসাইন,মহাসচিব ডেমোক্র্যাটিক পলিসি ফোরাম, বাংলাদেশ। ও সহকারী অধ্যাপক, মার্ডক ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া,এবং প্রাক্তন শিক্ষক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট),মোঃ পারভেজ মল্লিক, নির্বাহী পরিচালক, ডেমোক্র্যাটিক পলিসি ফোরাম, বাংলাদেশ। ফোরামের পক্ষে বিবৃতিতে আরও সংহতি প্রকাশ করেছেন-অধ্যাপক ডঃ সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, লেইকহেড ইউনিভার্সিটি, কানাডা, ও প্রাক্তন শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ডঃ মোঃ মুজাহিদ রাহমান, সহযোগী অধ্যাপক, সেন্ট ম্যারি ইউনিভার্সিটি, কানাডা, ডঃ নকিবুর রাহমান, সহকারী অধ্যাপক, ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনা, যুক্তরাষ্ট্র, ডঃ সৈয়দ মোহাম্মাদ শামসুল ইসলাম, এডিথ কোয়ান ইউনিভার্সিটি (ইসিইউ), অস্ট্রেলিয়া, ডঃ মোঃ সাইদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, ন্যানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি, সিঙ্গাপুর, ডঃ নূর হক, সিনিয়র লেকচারার, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড, অধ্যাপক ডঃ আব্দুল্লাহিল আহসান, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়াসহ ফোরামের অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।





আরো খবর